

এবার ৬০০-র বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে বিখ্যাত টেক জায়ান্ট অ্যাপেল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রযুক্তি জগতে শোরগোল পড়ে গেছে।
একের পর এক টেক কোম্পানিগুলি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিচ্ছে। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন অ্যাপেল। জানা যাচ্ছে গত ২৮ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ার মোট আটটি দফতর থেকে ৬১৪ জনকে ছাঁটাই করেছে অ্যাপেল। একটি নোটিশ জারির মাধ্যমে এই ছাঁটাই করেছে। সমস্ত ছাঁটাই হয়েছে ওয়ার্কাস অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড রিট্রেইনিং নোটিফিকেশন আইনের অধীনে।
অ্যাপেলের এই ছাঁটাই নিয়ে রীতিমত অবাক সকলে। কারণ করোনার সময় সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি যখন আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে কর্মী ছাঁটাই করছিল, অ্যাপেল তখন ক্যালিফোর্নিয়ায় কর্মী নিয়োগ করেছিল। সেই অ্যাপেলই এখন কর্মী ছাঁটাই করছে।
আর্থিক ক্ষতির কারণে গত কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী বহু বিখ্যাত কোম্পানি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথ বেছে নিয়েছে। ২০২৩ সালে ৬,৬০০ জন কর্মীকে ছাঁটাইয়ের পর চলতি বছরেও আপাতত ৬,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে ডেল। আবার হিন্দুস্থান ইউনিলিভারের ইউনিলিভার শাখা কোম্পানির লাভের জন্য ৭,৫০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। স্পোর্টস শু নির্মাতা নাইক সংস্থার উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে মোট কর্মী বাহিনীর ২ শতাংশ বা ১,৬০০ কর্মীকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কমপক্ষে ১,০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছ ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট। ফেব্রুয়ারি মাসে ৩,৫০০ কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডয়েশ ব্যাঙ্ক।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন