ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকীসংগৃহীত

মূল্যবৃদ্ধির হারে শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ, তারপরেই উত্তরপ্রদেশ ও আসাম, দাবি কেন্দ্রের রিপোর্টে

এ রাজ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৮.৮৫ শতাংশ। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.৩৬ শতাংশ। তার ঠিক পিছনেই আছে পঞ্জাব ৪.৩৯ শতাংশ, কেরলে ৪.৭০ শতাংশ।
Published on

মূল্যবৃদ্ধির হারে এবার গোটা দেশে শীর্ষস্থান নিল পশ্চিমবঙ্গ। মূল্যবৃদ্ধির গড় হারের যে পরিসংখ্যান সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, গত মার্চে দেশে মূল্যবৃদ্ধির গড় হার ছিল ৬.৯৫ শতাংশ। যেখানে এ রাজ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৮.৮৫ শতাংশ। বঙ্গ পিছনে ফেলেছে বিজেপি পরিচালিত দুই রাজ্য উত্তরপ্রদেশ ও অসমকে। মার্চে এই দুই রাজ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ছিল ৮.১৯ শতাংশ।

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.৩৬ শতাংশ। তার ঠিক পিছনেই আছে পঞ্জাব ৪.৩৯ শতাংশ, কেরলে ৪.৭০ শতাংশ।

কেন্দ্রের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি রূপায়ণ মন্ত্রকের অধীন এনএসও’র (ন্যাশানাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিস) পক্ষ থেকে দেশের ১১১৪টি শহর ও ১১৮১টি গ্রামীণ বাজার এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে গোটা দেশের ভোগ্যপণ্য মূল্যবৃদ্ধির এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ দফায় দফায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে তো সব রাজ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার এক হওয়া উচিত ছিল। শুধু এরাজ্যেই কেন মূল্যবদ্ধির হার সবার ওপরে? এই প্রশ্নে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপিকা ঈশিতা মুখার্জি বলেন, 'ডিজেলের দাম বাড়া মূল্যবৃদ্ধির বড় কারণ। আগে রাজ্য সরকার পেট্রোল, ডিজেলের কর কিছুটা মকুব করে মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানোর চেষ্টা করত। কিন্তু এখন জিনিসের দাম কমিয়ে মানুষকে রেহাই দিতে বর্তমান সরকারের সেরকম কোনও স্থায়ী পরিকল্পনা নেই।’

কেরলে মূল্যবৃদ্ধির হার ৪.৭০ শতাংশে আটকে থাকা প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, গণবণ্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে কেরলের মতো রাজ্য কিছু পদক্ষেপ করেছে। অন্যান্য রাজ্যেরও কিছু পরিকল্পনা আছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কোনও স্থায়ী পরিকল্পনা নেই।

জিনিসের দরদাম নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ৭ এপ্রিল নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে গত শুক্রবার থেকে বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর কেটেছে ছয়দিন। কিন্তু কোনও জিনিসের দাম এরাজ্যে নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং বেড়েছে।

অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা মনে করেছেন আগামী ১০দিন পর সবজির দাম কিছুটা কমতে পারে। তাতে অবশ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। বাজারে সরবরাহ কম। সরবরাহ বাড়লে তবেই কিছুটা দাম কমতে পারে, মনে করছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যের।

গোটা দেশে মূল্যবৃদ্ধির সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে ভোজ্য তেলে। মার্চ মাসেই ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধির হার ১৮.৭৯ শতাংশ। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে গোটা দেশেই চাল, ডাল থেকে মাছ, মাংস, পরনের কাপড় সব পণ্যেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী।

ছবি প্রতীকী
KMC: চরম আর্থিক সংকটে কলকাতা পুরসভা, উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য খরচের পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হল

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in