
বুধবার বিধানসভায় পেশ হয়েছে রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ বাজেট। ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে একাধিক প্রকল্পে জোর দিয়ে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্যও ৪% ডিএ বরাদ্দ করেছে রাজ্য।
রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করার সময় রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য বাজেটে সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর রয়েছে। তাঁদের ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে নতুন ডিএ কার্যকর হবে।
আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গ্রাম বাংলা-কে পাখির চোখ করা হয়েছে। পথশ্রী প্রকল্পে ৩৭ হাজার কিমি গ্রামীণ সড়কের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১,৫০০ কোটি টাকা। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতের জন্য ৪৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
স্কুলশিক্ষা বিভাগে ৪১ হাজার কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা করেছে রাজ্য। উচ্চশিক্ষা বিভাগে ৬,৫৯৩.৫৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। স্বাস্থ্যে ২১ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অতিরিক্ত ১৬ লক্ষ বাড়ি নির্মাণ করার জন্য ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এছাড়া ৭০ হাজার আশাকর্মীকে স্মার্ট ফোন দেবে রাজ্য সরকার। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। 'নদী বন্ধন' নামে এক নতুন প্রকল্পের জন্যও ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য। নদী ভাঙন এবং বন্যা রোধ করার জন্যই এই প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে সেতু তৈরির জন্য ৫০০ কোটি টাকার ঘোষণা করা হয়েছে। ৩৫০টি নতুন সুফল বাংলার স্টলেরও ঘোষণা হয়েছে রাজ্য বাজেটে। ধান কেনার জন্য নতুন কেন্দ্র তৈরি করা হবে। যার জন্য ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
তবে অনেকেই মনে করেছিলেন মহিলা ভোট ব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অর্থ বৃদ্ধি করতে পারে সরকার। কিন্তু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প অপরিবর্তিতই রইলো।
বাজেট শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা ব্যানার্জি বলেন, 'আগে ১৪% ডিএ ছিল এবার আরও ৪% বাড়িয়েছি। ফলে ১৮% ডিএ পাবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। আমরা বাজেটে যা বলি সেটাই করে দেখাই। বাণিজ্য সম্মেলনে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন