

উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় সিপিআইএমকে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমা, পিস্তল নিয়ে তাদের পার্টি অফিস ঘিরে রেখেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ করেছে সিপিআইএম নেতৃত্ব। এই ঘটনায় সিপিআইএম নেতা সায়নদীপ মিত্র, রানা রায় এবং সোমা চক্রবর্তী দাস আহত হয়েছেন।
সিপিআইএম-এর অভিযোগ, নমিনেশন জমা করতে যাওয়ার সময় তাঁদের কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কাঠের পুতুলের ন্যায় নীরব ছিল ঘটনার সময়।
সিপিআইএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রানা রায় এবং মহিলা আন্দোলনের নেত্রী সোমা চক্রবর্তী দাস এই মুহূর্তে মিনাখাঁ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে পার্টি সূত্রে জানা গেছে।
এই ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে সায়নদীপ বলেন, “আমাদের মহিলা আন্দোলনের নেত্রী সোমা চক্রবর্তী দাসের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক ঘণ্টা ধরে পুলিশকে বলে যাচ্ছি। পুলিশের কোনও তাপ-উত্তাপ নেই, একেবারে নীরব। একশো বার আইসিকে ফোন করেছি সাহায্য চেয়ে। আমাদের সব বাইকগুলো ভেঙে দিয়েছে ওরা। আইসির নেতৃত্বেই হামলা চালানো হয়েছে।“
সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পার্টি অফিসের সামনে বহু বাইক উল্টে পড়ে আছে।
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপেও সিপিআইএম কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের পাল্টা তাড়া করেছেন সিপিআইএম কর্মীরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন