

পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় ভাঙন শুরু তৃণমূলে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর মালদহে সিপিআইএম-এ যোগ দিলেন কয়েকশ তৃণমূল কর্মী।
মালদহের মানিকচকে ১৩৫ নম্বর বুথ সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ (মৎস্য ও প্রাণী) তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সিপিআইএম-এ যোগ দিয়েছেন। স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল ছেড়ে আরও অনেকেই সিপিআইএম-এ আসবে। চারিদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। এমনকি পঞ্চায়েতে প্রার্থী নিয়েও কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ সামনে আসছে। এত দুর্নীতি দেখে তৃণমূল ছেড়ে তাঁরা সিপিআইএম-এ যোগদান করেছেন।
যোগদানকারীরা বলেন, দিন দিন তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। দলে দুর্নীতিগ্রস্তরা ঢুকে পড়েছে। ভালো মানুষের জায়গা নেই। এইভাবে মানুষ ঠকিয়ে দল করা যায় না। ফলে সিপিআইএমে যোগদান করা ছাড়া উপায় নেই।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার লোভে সিপিআইএম-এ যোগদান করেছে। তৃণমূল থেকে তাদের টিকিট দেওয়া হয়নি। এই দলবদলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। সংগঠনেরও ক্ষতি হবে না।
এছাড়াও, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সদলিচক চক অঞ্চলের সূর্যপুরা বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ৩০টি পরিবার সিপিআই(এম) দলে যোগদান করে। চাঁচলের গালিমপুরে ৫০টি পরিবার TMC ছেড়ে লাল পতাকা হাতে তুলে নেন।
অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির কামারচক গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের টিকিট ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন শতাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা সকলেই আইএসএফ-এ যোগ দিয়েছেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন