বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর, আহত ২; ফের শিরোনামে মুর্শিদাবাদ
রাজ্যে ফের বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হলো একজনের। মৃত ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তৃণমূল যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার কাপাসডাঙাতে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য বোমা বাঁধার কাজ করছিল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাতেই বিপত্তি। বিস্ফোরণের পর তিনজন আহত হয়। যার মধ্যে গুরুতর আহত হয় আলিম নামের এক ব্যক্তি। এই আলিমকে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বাকি দুজনের খোঁজ এখনও মেলেনি।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এও দাবি করা হয়েছে, পুলিশকে জানিয়েও কোনও লাভ হয় না। বোমা বাঁধা রুখতে পুলিশের কোনও সক্রিয় ভূমিকা চোখে পড়ে না। বরং পুলিশ এখন আহতদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বোমা তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। পাশের এক পাট ক্ষেতেই বোমাগুলি বাঁধা হচ্ছিল। বোমা তো ফাটারই জিনিস।
তৃণমূল যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের অভিযোগ, বিরোধীরা ক্রমশই নিজেদের শক্তি হারাচ্ছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের গুরুত্ব বৃদ্ধি করতে শাসক দলকে কালিমালিপ্ত করছে। সব কিছুতেই তৃণমূলকে জড়িয়ে দিচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রাত থেকেই ভাড়া করা লোকজন এনে এক আমবাগানের পাশে পাট ক্ষেতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। কারা কারা যুক্ত তার খোঁজ চলছে। বিস্ফোরণের ৬ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বম্ব স্কোয়াড। তারা পড়ে থাকা বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই মুর্শিদাবাদেরই অন্য একটি জায়গা রানিনগরে শুক্রবার অর্থাৎ গতকাল রাতে ব্যাপক বোমাবাজি হয় তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে। ঘটনায় দুই পক্ষেরই একাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুই দলই একে অন্যের দিকে আঙুল তুলছে।
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

