রাখঢাক না রেখে একেবারে সরাসরি দলের রাজ্য সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। সুকান্ত মজুমদারের কোনও 'ব্যক্তিত্ব নেই', তিনি দলের রাজ্য সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর কথায় ওঠাবসা করেন বলে সরাসরি কটাক্ষ করলেন অনুপম।
তবে, এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। সুকান্ত মজুমদারের পাশাপাশি এবার গোটা রাজ্য বিজেপি নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। আগামী লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে দলের জন্য যেন ভবিষ্যতবাণী করলেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক।
অনুপমের কথায়, "যেভাবে সংগঠন চলছে, 'আবকি বার দুশো পার' স্লোগান আগে যেমন ৭৭ আসনেই আটকে গিয়েছে, আবারও সেটাই হবে। এই সংগঠন দিয়ে কিছুই হবে না। এরপরেও যদি কখনও ক্ষমতায় আসে, তাহলে বুঝতে হবে সাধারণ মানুষের তৃণমূলের প্রতি বিতৃষ্ণার জন্য ক্ষমতায় এসেছে, বিজেপির সংগঠনের কারণে নয়।"
অর্থাৎ, বিজেপি নেতার কথায় দলের সংগঠন যেভাবে চলছে, তাতে বিধানসভায় ২০০ আসন পাওয়ার স্লোগান ভুলে গিয়ে সেই ৭৭-এ আটকে থাকতে হবে গেরুয়া শিবিরকে। অনুপমের এই মন্তব্যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। এভাবে প্রকাশ্যে দলবিরোধী মন্তব্যকে বিজেপির জন্য 'অশনি সংকেত' বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
সম্প্রতি, কলকাতার বৈদিক ভিলেজে রাজ্য বিজেপির তরফে তিন দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ডাকা হয়েছিল দলের সব সাংসদ, বিধায়ক ও রাজ্য নেতাদের। সেই শিবিরে ডাক না পাওয়ায় রাজ্য বিজেপি নেতাদের তোপ দাগলেন অনুপম।
তাঁর কথায়, "আমার কাছে কোনও আমন্ত্রণপত্র আসেনি। কেন আসেনি, বাংলায় দলের পদাধিকারীরা সে সম্পর্কে ব্যাখা দিতে পারবেন। যিনি আমন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন, তিনিই এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখা দিতে পারবেন। আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি বিষয়টি টিভিতে দেখলাম।"
একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, "ক'দিন আগে বীরভূমের বোলপুরে বহিরাগত ৫০ জনকে এনে বাইক মিছিল করা হয়েছে। কিন্তু, বোলপুর আমার এলাকা হলেও আমাকে জানানোরও প্রয়োজন মনে করা হয়নি।"
তবে এদিন মূলত তাঁর ক্ষোভের একমাত্র লক্ষ্য ছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে অনুপম বাবুর কথায়, "দলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ নিয়ে অনেকদিন ধরেই কথা হচ্ছে। আমার মনে যা ছিল, আমি সময়ে সময়ে জানিয়েছি। বাকিরা প্রকাশ করবেন, না মনে রখে দেবেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।