

রামনবমীর পর ফের ধর্মীয় মিছিলে একসাথে পা মেলাতে দেখা গেল বিজেপি-তৃণমূলের নেতাদের। কাঁকিনাড়ায় "শ্রী শ্রী ফক্করনাথ শিবমন্দিরের" উদ্বোধন উপলক্ষে বুধবার মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে একটি ধর্মীয় মিছিলের আয়োজন করা হয়। সেই মিছিলেই একত্রে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এবং জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে। এই ঘটনাকে ঘিরেই জল্পনার সূত্রপাত হয় রাজনৈতিক স্তরে। তবে কী বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসতে চলেছেন অর্জুন সিং?
এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদের বক্তব্য,"এটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এখানে প্রথম থেকে আমরা জড়িয়ে আছি। এখানে কে আসবেন তা নিয়ে আমার চিন্তা নেই। মহাযজ্ঞে সকলেই শামিল হন। রাম যখন সেতু তৈরি করছিলেন তখন কাঠবিড়ালিও সাহায্য করেছিল। তাই প্রত্যেকেই ধর্মীয় মঞ্চে আসতে পারেন। এখানে কাউকে আটকানো যায় না। আর এখানে প্রত্যেকের আসাও উচিত। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।"
অন্যদিকে, মন্দির উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সেদিন সোমনাথের সঙ্গে গঙ্গার ঘাটে পুজো করতে দেখা গেছে ভাটপাড়ার বিজেপি বিধায়ক পবন সিংহকেও। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বলেন,"আমার পাশে কে ছিলেন তা জানি না। মন্দির কর্তৃপক্ষ আমাকে আহ্বান জানিয়েছিলেন কলস নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমি তাই করেছি। তবে আমি ডাইনে বা বামে তাকাইনি। একই জায়গায় কেউ আসতেই পারেন। তবে তার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এখানে অনেকে ছিলেন। আমি সকলকে চিনিও না।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর কিছুদিন আগেই গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রামনবমীর সুবিশাল মিছিলে একত্রে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল-বিজেপির নেতাদের। তারপর পুনরায় কাঁকিনাড়ায় মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অর্জুন, সোমনাথ,পবনের একত্রে উপস্থিতি কী কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে! জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন