৩৬ ঘন্টার বেশি সময় ধরে নিজের বাসভবন 'পূর্বিতা'-তে ঘেরাও রয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার রাত থেকে তাঁকে ঘেরাও করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত বা উপাচার্য তাঁদের সাথে আলোচনায় না বসা পর্যন্ত এই ঘেরাও চলবে জানিয়েছেন পড়ুয়ারা।
শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ। রাতে বাংলোর গেটের সামনে অস্থায়ী অবস্থান মঞ্চ করে মাইকে স্লোগান দিয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখাচ্ছিলেন তাঁরা। শনিবার বাঁশ পুঁতে শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে, যা দীর্ঘ ঘেরাওয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
রাতেই অবস্থান মঞ্চে গিয়ে পড়ুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান। পড়ুয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামী ৩১ আগস্ট বোলপুর স্টেশন থেকে উপাচার্যের বাড়ি পর্যন্ত মিছিল করবে এসএফআই বলে জানিয়েছেন তিনি।
বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকেও পড়ুয়াদের আন্দোলনে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। অবস্থান মঞ্চে গিয়ে পড়ুয়াদের সাথে দেখা করেও এসেছেন ব্যবসায়ী সমিতির কয়েকজন সদস্য। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সংগঠন VBUFA-ও পড়ুয়াদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক জানিয়েছেন, "VBUFA প্রত্যক্ষভাবে এই আন্দোলনে পড়ুয়াদের পাশে থাকবে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য সর্বস্তরে যে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছেন, তার বিরুদ্ধে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়াবো।"
অপরদিকে, দীর্ঘস্থায়ী ঘেরাওয়ের আশঙ্কা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করে রাখছেন উপাচার্য। জানা গেছে, বাংলোর নিরাপত্তারক্ষীরা চাল-ডাল, মোমবাতি সহ বেশ কিছু সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন উপাচার্যের কাছে। বাংলোর নিরাপত্তাও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। শনিবার পূর্বিতাতে অতিরিক্ত আরও ৯টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।