

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসপেন্ড হওয়া তিন পড়ুয়াকে এবার বরখাস্ত করলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হলো বাম ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত এই পড়ুয়াদের। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি তিনমাসের জন্য সাময়িক ভাবে অর্থনীতি বিভাগের পড়ুয়া ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং সঙ্গীত বিভাগের রূপা চক্রবর্তীকে সাসপেন্ড করেছিল কর্তৃপক্ষ। পরে ধীরে ধীরে সেই সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়ানো হয় যা এখনও শেষ হয়নি। এরই মাঝে তিন বছরের জন্য বরখাস্ত করা হলো এই তিন পড়ুয়াকে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে বরখাস্তের নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সদস্য এঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো আন্দোলনে এই তিনজনকে প্রথম সারিতে দেখা যায়। এঁদের বরখাস্তের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের একাংশ। বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
সোমনাথ সৌ-য়ের অভিযোগ, উপাচার্য RSS-BJP ঘনিষ্ঠ এবং তাঁরা এসএফআইয়ের সদস্য। তাই রাজনৈতিকভাবে শায়েস্তা করতে এই কাজ করা হয়েছে। আইনি পথে এর মোকাবিলা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সাসপেনশন পর্ব চলাকালীন এই তিন পড়ুয়াকে 'মাওবাদী' বলে উল্লেখ করেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের নিয়ে একটি বৈঠকে এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকের অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন