

রাজ্যের দুই জেলায় একই দিনে বন্ধ হয়ে গেল দুই জুটমিল। কাজ হারালেন মোট প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক। দুই জুটমিলের একটি উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে এবং অন্যটি হাওড়ায়। জগদ্দলের অকল্যান্ড জুট মিল এবং হাওড়া জুট মিল - দুটি জুট মিলের ক্ষেত্রেই মালিকপক্ষ আচমকাই মিলের গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে।
একই দিনে দুটি মিল বন্ধ হলেও জগদ্দলের অকল্যান্ড জুট মিলে মালিকপক্ষ নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে জুটমিল বন্ধ করেছে। হাওড়ার ক্ষেত্রে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের কোনও কারণ দেখানো হয়নি। জগদ্দলের জুট মিলে কর্মরত ছিলেন প্রায় ২,৫০০ শ্রমিক এবং হাওড়া জুট মিলে কর্মরত ছিলেন ১,৪০০ শ্রমিক।
শনিবার ভোরে অকল্যান্ড জুট মিলে শিফট শুরুর সময় কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতী ফ্যাক্ট্রি ম্যানেজার শঙ্কর তরফদারকে আচমকাই আক্রমণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ফ্যাক্টরি ম্যানেজারকে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ মিল বন্ধ করে দেন। সমস্ত শ্রমিক ইউনিয়ন জরুরি ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও কোনও ফল হয়নি। শ্রমিকদের এক অংশের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই একাজ করেছে। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের কারণেই আক্রান্ত হয়েছেন ফ্যাক্টরি ম্যানেজার।
হাওড়া জুট মিলের ক্ষেত্রে, শনিবার সকালে কর্মীরা কাজে যোগ দিতে এসে দেখেন কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলছে। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের বকেয়া নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। এরপরেই আচমকা মিল বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ২০২২ সালে প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর মিল খুলেছিল। ডিএলসি-র মধ্যস্থতায় ওই মিল খোলার সময় শ্রমিকদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেবার আশ্বাস দেওয়া হলেও গত ২ বছরে কোনও বকেয়া মেটানো হয়নি বলে অভিযোগ মিলের ৬টি শ্রমিক ইউনিয়নের। শ্রমিকদের আরও অভিযোগ, অবসরের পর শ্রমিকদের পেনশন ও পিএফ-এর টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ইএসআই এবং পিএফ কেটে নেওয়া হলেও তা সরকারি কোষাগারে জমা পড়ছে না। ফলে শ্রমিকরা চরম অসুবিধায় পড়ছেন। শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, সম্প্রতি মিলের শ্রমিক সংখ্যা কমিয়ে এখন তিনটির বদলে দুই শিফটে কাজ করানো হচ্ছে।
Keywords: jute mills, West Bengal, Shutdown, Workers, Workers Union, Labour Union
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন