তৃণমূলকে গ্রামীণ দলে পরিণত করে দেব - কর্ণাটকে কংগ্রেসের জয়ের পরই মমতাকে আক্রমণ অধীরের

অধীরবাবু বলেন, "সারাদেশে বিজেপিকে রুখতে গেলে কংগ্রেসের দরকার। কৃষক ও শ্রমিকের স্বার্থের প্রতীক কংগ্রেস। বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস অপরিহার্য।"
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীফাইল ছবি

কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই বোঝা গেছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নতুন সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। যা ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে কংগ্রেস শিবিরে। এই জয়ের সূত্র ধরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন।

কথায় আছে 'মর্নিং শোজ দ্য ডে'। শনিবার কর্ণাটক নির্বাচনের গণনার শুরু থেকেই বোঝা যায় কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করতে চলেছে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইও গণনা শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের দলের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। কংগ্রেসের এই জয় নিয়েই তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "তৃণমূল অনেক বলেছিল, এই রাহুল গান্ধীকে দিয়ে হবে না কিছু। বারবার বলেছে দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দিয়েই হবে। আর এই হবে করতে করতেই দিদি জাতীয় দল থেকে আঞ্চলিক দলে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে কংগ্রেসকে দিয়ে হবে না করতে করতে, আমরা এই আঞ্চলিক দলকে গ্রামীণ দলে পরিণত করে দেবো। পশ্চিমবঙ্গে আগামী দিনে তৃণমূল দলটা বাষ্পীভূত হয়ে উড়ে যাবে।"

পাশাপাশি ২০২৪ সালে বিজেপি বিরোধী শক্তির প্রধান মুখ যে কংগ্রেসই হতে চলেছে সেই কথাও পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, সারাদেশে বিজেপিকে রুখতে গেলে কংগ্রেসের দরকার। কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতীক। ঐক্যবদ্ধ ভারতবর্ষের প্রতীক, ভারতবর্ষের উন্নয়নের প্রতীক। কৃষক ও শ্রমিকের স্বার্থের প্রতীক কংগ্রেস। বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস অপরিহার্য।

এর আগেও একাধিকবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কিছুদিন আগেই সকল তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। রাজ্য থেকে তৃণমূলকে মুছে ফেলারও বার্তা শোনা গিয়েছিল অধীর চৌধুরীর মুখে।

উল্লেখ্য, কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের গুরুত্ব কংগ্রেসের কাছে ঠিক কতটা তা সকলেই জানেন। শেষ পাওয়া আপডেট অনুযায়ী কংগ্রেস ১৩৪টি আসনে জয়ী এবং ২টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিজেপি ৬৪টি আসনে জয়ী এবং ১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। জনতা দল জিতেছে ১৯টিতে। অন্যান্যরা জয়ী হয়েছে ৪টি আসনে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী
‘কর্ণাটকে পুঁজিবাদী ক্ষমতাকে হারিয়ে দিয়েছে জনগণের শক্তি’ - রাহুল গান্ধী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী
কংগ্রেস মুক্ত ভারত চেয়ে দক্ষিণ ভারতই এখন বিজেপি মুক্ত - কটাক্ষ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in