‘কর্ণাটকে পুঁজিবাদী ক্ষমতাকে হারিয়ে দিয়েছে জনগণের শক্তি’ - রাহুল গান্ধী

এদিকে, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী
রাহুল গান্ধীগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

ভারত জোড়ো যাত্রায় নেমে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন - ‘নফরত কে বাজার মে মহব্বত কি দুকান খোলনে আয়া হু’। কর্ণাটকের নির্বাচনী ফলাফলে সামনে আসার পরেই, সেই একই সুর শোনা গেল রাহুল গান্ধীর গলায়।

শনিবার, সাংবাদিক সম্মেলন করে কর্ণাটকের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘কর্ণাটক মে নফরত কি বাজার বন্ধ হো চুকে হ্যায়, অর মহব্বতকে বাজার খুল চুকা হ্যায়।‘ অর্থাৎ, কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে। ভালবাসার দোকান খুলে গিয়েছে।

প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘আমি সবার আগে কর্ণাটকের বাসিন্দা, কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই নির্বাচনে একদিকে ছিল ক্রনি পুঁজিবাদীদের ক্ষমতা, অন্যদিকে ছিল জনগণের শক্তি। এবং জনগণের শক্তিই পুঁজিবাদীদের পরাজিত করেছে।’

তিনি বলেন, ‘‘অন্যান্য রাজ্যেও এটা হবে। আমার ভালো লাগছে যে, আমরা এই লড়াই করেছি ভালোবাসা ও স্নেহ দিয়ে। কর্ণাটকের মানুষ আমাদের বলেছে, এ দেশ প্রেম ভালোবাসে। কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়ে প্রেমের দোকান খুলেছে।‘

রাহুল গান্ধী আরও জানান, ‘এই জয় কর্ণাটকের জয়। আমরা নির্বাচনে কর্ণাটকের জনতার কাছে পাঁচটি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সেটা পূরণ করব।‘

এদিকে, এদিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে দলের রাজ্য সভাপতি ডি কে শিবকুমার- সকলের গলায় শোনা গিয়েছে রাহুলের প্রশংসা। সকলেই রাহুল গান্ধীর কর্ণাটকের নির্বাচনী ফলাফলে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ভূমিকা তুলে ধরেছেন। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকে ২১ দিন ধরে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় হেঁটেছিলেন রাহুল গান্ধী।

এদিকে, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন রাহুল গান্ধী। 

রাহুল গান্ধী
Karnataka Polls: কর্ণাটকে ফল ঘোষণার আগেই দিল্লি, বেঙ্গালুরুর কংগ্রেস অফিসে উৎসবের মেজাজ

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in