

ফের পঞ্চায়েত হিংসার বলি হলেন একজন। মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী মৈমুর ঘরামিকে গুলি করে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অশান্তি এখনও অব্যাহত। এখন চলছে বোর্ড গঠনের পালা। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ ভাবে বোর্ড গঠনের। কিন্তু সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল শুক্রবার রাতের ঘটনা। মগরাহাট ২-র অর্জুনপুর এলাকায় দুষ্কৃতীদের হাতে নিহত হন মৈমুর। তাঁকে বাঁচাতে এসে গুলিবিদ্ধ হন আরও এক তৃণমূল কর্মী শাহজাহান মোল্লা।
শাহজাহান বলেন, রাতের অন্ধকারে দেখি বেশ কয়েকজন মৈমুরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। আমরা বাঁচাতে গেলে আমাদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়।
পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, নতুন বোর্ড গঠন হবে। সেই বোর্ডে উপ-প্রধান হিসেবে মৈমুরের নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠী বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে উপ-প্রধানের পদ ছেড়ে দিতে বলে নিহত তৃণমূল প্রার্থীকে। রাজী না হওয়াতেই এই হামলা।
আহতদের ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই মৈমুরকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। শাহজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জমি বিবাদের জেরে খুন বলে অনুমান করা হচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগেও কয়েকজনের সাথে ঝামেলা হয়েছিল মৈমুরের। ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
- with inputs from IANS
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন