ভরা বাজারে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে, তীব্র চাঞ্চল্য হাঁসখালিতে

শুক্রবার সকালে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন আমোদ আলি বিশ্বাস। আচমকাই ৮-১০ জন দুষ্কৃতি এসে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন ওই তৃণমূল নেতা।
দুষ্কৃতিদের গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতা
দুষ্কৃতিদের গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতাগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

নদীয়ার হাঁসখালিতে দুষ্কৃতিদের গুলিতে নিহত হলেন তৃণমূলে কংগ্রেসের অঞ্চল সহ-সভাপতি আহমেদ আলি বিশ্বাস। কী কারণে এই হামলা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ঘটনার জেরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ওই এলাকায়।

পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, একের পর এক শাসক দলের নেতার উপর হামলার ঘটনা সামনে আসছে। কখনও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কখনও কোচবিহার - বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এলাকা শাসক নেতাদের ওপর আক্রমণের ঘটনায়। এবার তেমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল হাঁসখালি থানার রামনগর বড় চুপড়িয়া গ্রাম।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন আহমেদ আলি বিশ্বাস। আচমকাই ৮-১০ জন দুষ্কৃতি এসে তাঁকে চায়ের দোকান থেকে বাইরে ডাকে। তারপরই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন ওই তৃণমূল নেতা। সেই সময়ই গুলি লাগে তাঁর। সকলেরই মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গুলি লাগার সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাঁসখালি থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে কৃষ্ণনগরে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। ব্যক্তিগত শুত্রুতা নাকি রাজনৈতিক কোনো কারণে এই খুন, তা খতিয়ে দেখছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।

এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অনেকেই এলাকা ছেড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ সুত্রে জানা যাচ্ছে আহমেদ আলি বিশ্বাসের বিরুদ্ধেও থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নিহত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র রাখা থেকে শুরু করে বোমাবাজিরও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল থানায়।

অন্যদিকে এদিন সকালেই কোচবিহারের শীতলকুচিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য়া, তাঁর স্বামী ও তাঁদের এক মেয়েকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। একই দিনে পরপর এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারন মানুষের মধ্যে।

বিরোধীদের অভিযোগ, পুরো পশ্চিমবঙ্গটাই দুষ্কৃতিদের স্বর্গরাজ্যের পরিণত হয়েছে। যেখানে তৃণমূল নেতার কোনো নিরাপত্তা নেই সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠবেই। আগে বিরোধী নেতাদের মারা হতো। এখন শাসক দলের নেতাদেরই খুন হতে হচ্ছে। রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

দুষ্কৃতিদের গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতা
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে CPIM এবং কংগ্রেসে যোগদানের হিড়িক
দুষ্কৃতিদের গুলিতে নিহত তৃণমূল নেতা
শীতলকুচিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, স্বামী ও মেয়েকে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in