TMC কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্তের জামিন, পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পরিবার

বিক্ষোভ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। বিক্ষোভকারীরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ওপর ভরসা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের ওপর কোনও আস্থা নেই।
বাপি পণ্ডিতের জামিনে বিটি রোডে বিক্ষোভ
বাপি পণ্ডিতের জামিনে বিটি রোডে বিক্ষোভগ্রাফিক্স সুমিত্রা নন্দন
Published on

পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্তের জামিন ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো বিটি রোডে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি চেয়ে সরব হয়েছেন নিহত অনুপম দত্তের স্ত্রী-অনুগামী-স্থানীয়রা। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তাঁরা। পুলিশকে ঘিরে দীর্ঘক্ষণ চলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। পুলিশি গাফিলতির অভিযোগ করছেন অনুপম দত্তের দাদা নিরুপম দত্ত।

সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বাপি পণ্ডিত (মূল অভিযুক্ত)। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অশান্ত হয়ে পড়ে আগরপাড়া। রাতেই অনুপম দত্তের অনুগামীরা টায়ার জ্বালিয়ে বিটি রোড অবরোধ করে। তাঁদের প্রশ্ন, সমস্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বাপি পণ্ডিত সমস্ত প্রমাণ জামিন পায় কীভাবে।

মৃত কাউন্সিলরের দাদা নিরুপম দত্ত সাংবাদিকদের বলেন, 'মাত্র ছয় মাস আগে বাপি পণ্ডিত, প্রসেনজিৎ পণ্ডিত এবং অমিত পণ্ডিত মিলে ষড়যন্ত্র করে আমার ভাইকে (অনুপম দত্ত) মেরেছে। সিসিটিভিতে তার প্রমাণও আছে। সমস্ত নথিও পুলিশ পেয়ছে। পুলিশ আমাদের জানায় তারা ঠিক ভাবে মামলা সাজিয়েছে। প্রসেনজিৎ পণ্ডিত টাকা দিয়ে নিজের ভাইকে ছাড়িয়ে নিয়েছে'।

সমর্থকদের দাবি তাঁরা সিবিআই তদন্ত চান। সূত্রের খবর, বিক্ষোভ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় এমন অবস্থা হয় তাঁর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিক্ষোভকারীরা জানান, মুখ্যমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ওপর ভরসা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের ওপর কোনও আস্থা নেই।

উল্লেখ্য ১৩ মার্চ পানিহাটিতে অনুপম দত্তকে গুলি করে খুন করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরায় এই ঘটনায় ধরা পড়েছিল। একটি স্কুটারে ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে তাঁকে এক দুষ্কৃতি। পুলিশ জানিয়েছিল, ঐ খুনের সুপারি দিয়েছিল বাপি পণ্ডিত।

বাপি পণ্ডিতের জামিনে বিটি রোডে বিক্ষোভ
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরই হু-হু বেড়েছে মমতার পরিবারের সম্পত্তি! তদন্তের দাবিতে মামলা হাইকোর্টে

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in