তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধির দিকে আঙুল উঠলো। মমতা ব্যানার্জির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। বহু সরকারি সম্পত্তি বাজার মূল্যের থেকে অনেক কম টাকায় কেনা হয়েছে বলেই অভিযোগে জানিয়েছেন মামলাকারী।
শাসক-বিরোধী নেতাদের পর এবার সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ উঠল খোদ মমতার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। কলকাতা আদালতে মামলা করেছেন আইনজীবী অরিজিৎ মজুমদার। তাঁর অভিযোগ ২০১৩ সালের পর থেকে হু হু করে বাড়তে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির পরিমাণ। বাজারমূল্যের চেয়ে কমে দামে কেনা হয় একাধিক সম্পত্তি বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, এই ২০১৩ সালেই এক ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে।
মামলাকারীর আরও অভিযোগ, মমতার ভ্রাতৃবধূ কাজরী বন্দ্যোপাধায় সম্প্রতি পুরসভা ভোটে দাঁড়ান। সেই হলফনামায় তিনি যে সম্পত্তির তথ্য দিয়েছিলেন তা ঠিক নয়। নিজের এবং স্বামীর সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করলেও ছেলের নামে কোনও সম্পত্তির উল্লেখ করেননি তিনি। ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ এবং ২০২০ চারটি সম্পত্তির ডিড নম্বর উল্লেখ করেননি নির্বাচনী হলফনামায় বলে অভিযোগ। আইনজীবী এও জানান, ত্রিনেত্র কনসালটেন্ট, লিপস অ্যান্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেড সহ একাধিক সংস্থা মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সাথে যুক্ত।
মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির পরিমাণ বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এই সম্পত্তি বৃদ্ধির সাথে আয়ের কোনও সংগতি নেই। আদালতে সিবিআই, ইডি ও আয়কর দপ্তরের মাধ্যমে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অরিজিৎ মজুমদার। সূত্রের খবর ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হতে পারে।
উল্লেখ্য, সোমবার মেয়োরোডে TMC ছাত্র পরিষদের সভায় এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "একজন আমাকে বলছে দিদি আপনার নামে কোর্টে কেস করেছে। আপনার ও আপনার পরিবারের সকলের অনেক সম্পত্তি বেড়েছে। আমিতো বলি আমার এখানে কেন বিচার হবে? ইন্টারন্যাশনাল কোর্টে হওয়া উচিত। এখানে তো বিজেপি যা শিখিয়ে দেবে তাই বলবে। আমাকে দেখুন ১২ বছর ১ লক্ষ টাকা করে পেনশন পেতাম। এক টাকাও আমি নিইনি। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মাসে ৩-৩.৫০ লক্ষ টাকা পেয়েছি, ১১ বছর এক পয়সাও নিই না। আর পরিবারের সদস্যদের কারুর সাথে কোনও সম্পর্ক নেই। সবার সাথে শুধুমাত্র উৎসবের সম্পর্ক আছে।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।