

মেয়ো রোডের সভাতে রাজ্যে চাকরির খতিয়ান দেখিয়ে বিরোধীদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা ব্যানার্জী। শেষ ১০ বছরে তিনি ১ কোটিরও বেশি চাকরি দিয়েছেন বলে দাবি করেন। এমনকি এই নিয়ে একটা তালিকাও দেন তিনি।
সোমবার মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুস্ঠানে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সভা থেকে রাজ্যে কর্মসংস্থানের বিষয়ে একাধিকবার বিরোধীদের কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলায় ৪০% কর্মসংস্থান বেড়ে গেছে, যেখানে দেশে ৪০ % বেকারত্ব বেড়রেছ। রাজ্যে আমরা ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৯৭০ লোকের চাকরি দিয়েছি। স্কুল এবং কলেজ নিয়ে মাত্র ১০ বছরে আমরা ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৯৭০ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে চাকরি দিয়েছি। এমএসএমই-তে ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ছেলেমেয়েরা কাজ করছে। ২৮০০ আইটি কোম্পানি রাজ্যে কাজ করছে। ২ লাখের বেশি প্রফেশন্যাল কাজ করছে। লেদার পার্কে ২ লক্ষ ২০ হাজার লোক কাজ করছে। রাজ্যে বাকি আছে ৮৯ হাজার ৩৫ টি শূন্যপদ’।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, 'শিক্ষা নিয়ে অনেকে অপপ্রচার করছে। রাজ্যে এখন বিষয়টি বিচারাধীন বিষয়। তাই এই বিষয়ে কিছু বলবো না। আমি যদি রাজনীতি না করতাম, আর এই চেয়ারে না থাকতাম তাহলে আমার বোনেদের বলতাম মিথ্যা কথা রটনাকারীদের জিভগুলো টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিতে।'
এছাড়া তিনি এদিনের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, 'বিজেপি মিডিয়াগুলিকে কিনে নিয়েছে। বিজেপি যা বলবে মিডিয়া তাই করবে। ওদের হাতে কিছু করার ক্ষমতা নেই। মিডিয়া থেকে শুরু করে বিচারব্যবস্থা, রাজনৈতিক দলগুলিকে পরাধীন করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এর সাথে পেগাসাসের মাধ্যমেও বিরোধীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। বিজেপি রাজ্যে টাকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজ, বাংলার বাড়ি সবক্ষেত্রে টাকা বন্ধ করছে বিজেপি। ইডি আর সিবিআইকে দিয়ে লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা লুঠ করছে।'
জনগণকে মিডিয়াকে বিশ্বাস না করার অনুরোধ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি সিপিআইএমকে আক্রমণ করে তাঁর অভিযোগ, সিপিআইএমের আমলে টাকা দিয়ে চাকরি হয়েছে। চাকরি প্রার্থীদের কোনও লিস্ট নেই।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন