
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আরও একজনের মৃত্যু হলো। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের সুজাপুরে। এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠলো কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস।
মনোনয়ন পর্ব থেকে স্ক্রুটিনি পর্ব রাজ্যে এখনও ঝরছে রক্ত। মালদহের মৃত্যু নিয়ে শেষ ৯ দিনে রাজ্যে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার তৃণমূলের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মোস্তাফা শেখ খুন হন। যিনি আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজাপুর থেকে তৃণমূলের টিকিট পেয়েছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, আজ দুপুরে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন মোস্তাফা শেখ। সেই সময় বেশ কিছু কংগ্রেস কর্মী সমর্থক মোস্তাফা শেখকে ঘিরে রড, লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারতে শুরু করে। তাঁরা এও বলেছেন, যারা তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে গেছে তারাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।
রাস্তায় গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা মোস্তাফা শেখকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খুনের প্রতিবাদে এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, এবারে অনেক বেছে ভালো প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হয়েছে। যারা দলবিরোধী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। পরে তারাই কংগ্রেসে গিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অপরাধীদের শাস্তি হোক এটাই চাই।
কংগ্রেস তৃণমূলের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, চারিদিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এটাও নিজেদের মধ্যে বচসার জেরে হয়েছে। তৃণমূল ভেঙে অনেকেই কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছে। ফলে পঞ্চায়েতের আগে কীভাবে কংগ্রেসকে কালিমালিপ্ত করা যায় সেটারই চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল। কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচি বলেন, এই কারণেই তো আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছিলাম। এরা এখনই নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করে মরছে, নির্বাচনের দিন কী হবে তাহলে? রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা প্রয়োজন।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন