

ভাঙড়ে সিপিআই(এম)-র জাঠা কর্মসূচিতে হামলা চালালো তৃণমূল আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতি বাহিনী। ঘটনায় সিপিআই(এম)-র বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশের মদতেই হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
আগামী বছর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যের প্রতিটা পঞ্চায়েত এলাকায় জাঠা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সিপিআই(এম)। সেই লক্ষ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাতিশালা এলাকায় জমায়েত করেন সিপিআই(এম)-র কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতির সাথে প্রথমে স্লোগান দেওয়া নিয়ে বচসা বাধে। পরে তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। ওই দুষ্কৃতির নেতৃত্বে বারাসত, শাসন সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪০০-৫০০ বাইক বাহিনী জমায়েতে হামলা চালায়।
আক্রান্তদের মধ্যে একজন বলেন, 'আমাকে লাঠি দিয়ে মেরেছে। বাধা দিতে গেলে আমি মাটিতে পড়ে যাই।' ওই ব্যক্তির হাত ও পা থেকে রক্তও বেরোয়। এক সিপিআইএম কর্মী জানিয়েছেন, আমাদের ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছেন। ৩ জনকে এনআরএসে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নিকটবর্তী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়েই আমরা আমাদের কর্মসূচি শুরু করেছি। পুলিশের সামনেই আমাদের আক্রমণ করলো। তৃণমূলের স্থানীয় দুই নেতার নেতৃত্বে এই আক্রমণ। এরাই মানুষকে ভয় দেখিয়ে রেখেছে। অবিলম্বে এদের গ্রেফতার করতে হবে। তৃণমূল আসলে ভয় পাচ্ছে। আমরা গ্রামে গ্রামে মিছিল নিয়ে যাচ্ছি এটা ওরা পছন্দ করছে না। তার জন্যই ভাঙড়ের বিভিন্ন জায়গায় সিপআই(এম) কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। পুলিশ শুধুমাত্র দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন