আদিবাসী নাবালিকাকে বারবার ধর্ষণ, গ্রেফতার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৪, নির্যাতিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক

নির্যাতিতা নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
Published on

এক তৃণমূল নেতার কাছ থেকে প্রায় লাখখানেক টাকা সুদে ধার নিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি তা শোধ দিতে পারেননি। তাই বলে ওই নেতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি ওই ব্যক্তির। তাই তাঁর নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করে গেছেন তৃণমূল নেতা। এতে অবশ্য মদত ছিল নির্যাতিতার বাবার। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর থানার সিয়ান-মুলুক এলাকায়৷

নির্যাতিতা নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার বাবা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তথা স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তিমান ঘোষ সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বোলপুরের সিয়ান-মুলুক পঞ্চায়েতের সদস্য দীপ্তিমান ঘোষ এলাকার দাপুটে নেতা। তাঁর দাপটে এলাকা ত্রস্ত। জানা গেছে টাকা শোধ করতে না পারার খেসারত হিসেবে গত ৩১ মার্চ থেকে নাবালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে দীপ্তিমান ঘোষ সহ আরও দুজন৷ ঘটনা জানাজানি হতেই প্রতিবাদে সোচ্চার হন এলাকাবাসী। অবশেষে নির্যাতিতার দিদি অভিযোগ জানান থানায়। নদিয়ার হাঁসখালির পর বোলপুরের এই ঘটনায় ফের অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। পরিস্থিতি আঁচ করে পুলিশ তড়িঘড়ি গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত দীপ্তিমানকে।

এই ঘটনায় নির্যাতিতার দিদি বোলপুর থানায় বাবা-মা সহ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ও বোলপুরের এসডিপিও ঘটনাস্থলে যান। ৩৭৬ডি (গণধর্ষণ), ৫০৬ (হুমকি), তফশিলি জাতি-উপজাতি আক্রমণ প্রতিরোধ আইন এবং পকসো আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ।

নির্যাতিতার দিদির দাবি, 'বোন ফোনে আমাকে সব জানিয়েছে৷ ও ভয়ে রয়েছে। সুস্থ হলে সবটা আরও পরিষ্কার হবে৷ আমরা চাই অভিযুক্তরা শান্তি পাক৷'

প্রতীকী ছবি
রাজ্যে পরপর নৃশংস ধর্ষণের ঘটনায় বাকরুদ্ধ হাইকোর্ট, চারটি ধর্ষণকাণ্ডে তদন্তের দায়িত্বে দময়ন্তী সেন

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in