

ফের গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের দায়িত্বে নিয়ে আসা হল আইপিএস দময়ন্তী সেনকে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তিনি দেগঙ্গা, মাটিয়া, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোণীর ধর্ষণ মামলার তদন্ত করে দেখবেন। তবে এই নজরদারির দায়িত্ব নিতে না-চাইলে সরাসরি তা আদালতকে জানাতে পারেন দময়ন্তী, এমনটাই জানিয়েছে আদালত।
বর্তমানে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার পদে রয়েছেন দময়ন্তী সেন। তাঁর পুরনো রেকর্ড বলছে, তিনি অনেক বেশি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেন। তার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার শুনানিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
প্রধান বিচারপতির এই সিদ্ধান্ত এক দশক আগের পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তকে মাথায় রেখে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের সময় দময়ন্তী সেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান ছিলেন। ঘটনার তদন্তও তিনি করেছিলেন। তখন অবশ্য সদ্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনাকে ‘সাজানো ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেন। তবে দময়ন্তী তদন্ত করে যে রিপোর্ট দিয়েছিলেন, তাতে ধর্ষণের কথাই উল্লেখ ছিল।
এদিন শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘রাজ্যে পরপর একই ঘটল। কী হচ্ছে? কেন এমন ঘটনা ঘটছে? আমি বাকরুদ্ধ!’
প্রসঙ্গত, গত বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। শুধু তাই নয়, কোথাও নির্যাতিতাকে ধর্ষণের পর খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে। অথবা কোথাও নির্যাতিতার মৃতদেহ জোর করে দাহ করার অভিযোগ উঠছে। পরপর এই নৃশংস ঘটনায় প্রধান বিচারপতিও যে উদ্বিগ্ন তা তাঁর আজকের মন্তব্যে প্রকাশ পেয়েছে।
দময়ন্তী সেনকে দায়িত্ব দেওয়া প্রসঙ্গে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘কলকাতা দেশের মধ্যে নিরাপদ শহর। দিল্লিতেই এমন ঘটনা ঘটে। এখানে সব কিছুতে রাজনীতি, গলিতে গলিতে রাজনীতি।'
প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতির নির্দেশের মধ্যে নদিয়ার হাঁসখালির ঘটনা নেই, যা নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্য তথা দেশের রাজনীতি তোলপাড়। কেন নেই তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আগামী ২০ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন