
প্রবীণ বাম নেতাকে রাস্তায় ফেলে মারধর এবং মুখে কালি ছোড়ার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রী বেবী কোলেকে শোকজ করল দল। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা শোকজ চিঠি দেন বেবীকে। সূত্রের খবর, শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন সুজয়। পাশাপাশি, নেত্রীর বিরুদ্ধে দলের তরফ থেকে এফআইআর-ও করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার। খড়গপুরের খরিদা এলাকায় স্থানীয় এক বাম সংগঠনের প্রবীণ নেতা একটি ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাঁকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন এক তৃণমূল নেত্রী। এই ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। (এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার) যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল নেত্রী বেবী কোলে বাম নেতাকে রাস্তায় ফেলে জুতো দিয়ে মারছেন। বৃদ্ধের চোখে মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দিন কয়েক আগে তৃণমূলের লোকজন স্থানীয় এক মহিলার শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে দেয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বাম নেতা অনিল দাস। তিনি ওই মহিলাকে নিয়ে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই সোমবার স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী বেবী কোলে দলবল নিয়ে অনিলবাবুর ওপর চড়াও হন।
এই ঘটনার পর থেকে উত্তেজনা ছড়ায় রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল নেত্রীর এই আচরণে প্রবল অস্বস্তিতে পড়ে শাসক দল। তৃণমূলের কলকাতার নেতৃত্বের তরফ থেকে সুজয়কে জানানো হয়, বাম নেতাকে মারধরের ঘটনাকে কোনও ভাবে দল অনুমোদন দেবে না। পুরো ঘটনাটি সভাপতিকেই দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপরে সোমবারই বেবীকে শোকজের চিঠি দেন সুজয়। যেখানে লেখা হয়, খড়্গপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের ওই নেত্রীর কাজ কোনওভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। চিঠিতে লেখা, ‘‘৩০ জুন (সোমবার) আপনি প্রকাশ্যে রাস্তায় যে অশালীন এবং অশোভনীয় কাজ করেছেন এবং নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে এক জন বয়স্ক মানুষকে হেনস্থা করেছেন, তাতে দলের ভাবমূর্তি যথেষ্ট আঘাত পেয়েছে। দল কোনও মতে এই কাজ সমর্থন করে না। এবং ইতিমধ্যেই আপনার বিরুদ্ধে খড়্গপুর টাউন থানায় দলীয় ভাবে এফআইআর রুজু হয়েছে"।
চিঠির শেষে এফআইআর নম্বর দিয়ে লেখা হয়েছে, "দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধের জন্য আপনাকে আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন