
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নের শেষ দিনে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় ভাঙড়ে। প্রাণ যায় এক আইএসএফ কর্মী ও দু জন তৃণমূল কর্মীর। তার মধ্যে এক তৃণমূল কর্মীর পরিবারের দাবি, এখন টাকা দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতারা। তারাই অস্ত্র তুলে দিয়েছিল রাজু নস্করের হাতে।
বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে দিনভর ব্যাপক বোমাবাজি হয়। আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ - আরাবুল ইসলাম এবং শওকত মোল্লার নেতৃত্বে হাটগাছা, ভাঙড়, ক্যানিং থেকে প্রচুর দুষ্কৃতি গুলি ও বোমাবাজি করেছে তাদের লক্ষ্য করে। যার জেরে এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তৃণমূলেরও দাবি, তাদের দু'জন কর্মীকে হত্যা করেছে আইএসএফ। রাজু নস্কর বলে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
নিহত রাজু নস্করের স্ত্রী বলেন, এর আগেও তৃণমূল থেকে আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে গেছিল মিটিং-র জন্য। আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছিল। ঝামেলার দিনও ওরা (তৃণমূল সমর্থকরা) আমার স্বামীকে যেতে বলে। হয়তো ভয়েতেই সে (রাজু নস্কর) গেছিল। কিন্তু আর ফিরলো না। তৃণমূলই কৈফিয়ৎ দিক আমার স্বামী কোথায়?
নিহত তৃণমূল কর্মীর কন্যা জানান, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। আমার বাবার শরীর খারাপ ছিল। ওরা বললো বেশিক্ষণের কাজ নয়। ৫-১০ হাজার টাকা দেওয়ারও কথা বলেছিল। শুধু গুলি করে চলে আসতে হবে। ওরা মদ খাইয়ে বোম ও বন্দুক তুলে দিয়েছিল বাবার হাতে। কিন্তু আমার বাবাকে খুন হতে হলো। এখন তৃণমূলের নেতারা এসে টাকার মাধ্যমে বিষয়টা ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেছেন, পুরো ঘটনায় NIA তদন্তের দাবি জানিয়েছি। যে কোনো মৃত্যুই দুঃখজনক। সে আমাদের দলের কর্মী হোক বা তৃণমূলের। আমি চাই মানুষ নিরাপদে থাকুক, শান্তিতে বাঁচুক।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন