

ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার। তৃণমূলে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। জখম হন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
ওই নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, গুলিও চলে বলে অভিযোগ। আক্রান্তের নাম উত্তম বর্মন। তিনি ওই তৃণমূল কংগ্রেসের বলরামপুর ২ অঞ্চলের সভাপতি। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে প্রথমে তুফানগঞ্জের মহকুমা হাসপাতালে, পরে তাঁকে কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
হাসপাতালের বেডে অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ করে জানান, রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীরা শনিবার রাত ১১টা নাগাদ রাস্তায় পাইপ ফেলে তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। তারপর গাড়িতে মারধর শুরু করে। তিনি পালানোর চেষ্টা করলে মাথায়, কাঁধে, পায়ে আঘাত করে। কোনওমতে লুকিয়ে প্রাণে বাঁচেন। পালিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি।
খবর পেয়ে রবিবার সকালে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তমবাবুকে দেখতে যান উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান তথা কোচবিহারের তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। ঘটনাটি জেলা নেতৃত্বকে জানাবেন বলে আশ্বাসও দেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন