

কলকাতার কাঁকুড়গাছিতে বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের হত্যাকান্ডে নাম জড়ালো শাসক দলের দাপুটে নেতা পরেশ পাল ও স্বপন সমাদ্দারের। তাঁদের দুজনকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠালো সিবিআই।
অভিজিৎ সরকার হত্যাকান্ডে পরিবারের লোক বারবার দাবি করেছিল তৃণমূলের নেতারা এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত আছে। মৃতের দাদাকে বিধায়ক পরেশ পাল ও কাউন্সিলর স্বপন সমাদ্দারের নাম নিতেও শোনা যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায় যেসব প্রভাবশালী নেতাদের নাম নেওয়া হচ্ছে তাদের কাউকেই সিবিআই তলব করছে না। তাই গত ১৩ মে সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে মৃতের দাদা অভিজিৎ সরকার অনশনে বসেন। তাঁর দাবি ছিল, সিবিআইকে দ্রুত তদন্ত শেষ করে অভিজিৎ সরকারের খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সোমবার তাঁদের সিবিআই দফতরে যাওয়ার নির্দেশ দেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তাদের কাছে কাউন্সিলর ও বিধায়কের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নথি চাওয়া হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পরেশ পাল ও স্বপন সমাদ্দারকে ১৭ মার্চ তলব করল সিবিআই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২১ এর বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের দিন খুন হতে হয় বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সদস্য অভিজিৎ সরকারকে। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তে এসে এই ঘটনায় ২০ জনের নামে চার্জশীট পেশ করে সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর ঐ ২০ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সহ আরও নানান অভিযোগ আনা হয়। পরিবার সূত্রে জানা যায়, খুনের আগে অভিজিৎ একটি ফেসবুক লাইভও করে। যাতে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করে ঐ বিজেপি কর্মী।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন