গোরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই জেল হেফাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এর উপর আবার বোলপুর পুরসভার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলারই শুনানি ছিল মঙ্গলবার।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। যদিও শুনানির শেষে মামলার রায় স্থগিত রেখেছে আদালত।
গোরু পাচার ছাড়াও কয়লা পাচার এবং ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বেশ কয়েকটি তদন্ত চলছে অনুব্রত মণ্ডলের নামে। আদালতের সওয়ালে এদিন মামলাকারী অভিযোগ করেন, অনুব্রতকে 'উপযুক্ত ভেট দিলে' তবেই বোলপুরের মত জায়গায় বাড়ি করা যায়। এমনকি বিল্ডিং প্ল্যানিং-র অনুমোদন পেতে গেলেও ভেট দিয়ে খুশি করতে হয় কেষ্টকে।
তাঁর আরও অভিযোগ, বোলপুর পুরসভার বর্তমান চেয়ারপার্সন পর্ণা ঘোষ এবং তাঁর স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ ওই অনুদানের টাকা নিতেন। কাটমানি না দিলে বিল্ডিং প্ল্যানই দেওয়া হত না। এমনকি, পুরসভার নামে ভুয়ো বিল তৈরী করে টাকা তোলা হত বলে অভিযোগ। এই গোটা চক্রের মাথা ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।
তবে, মামলাকারীর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বোলপুর পুরসভা। পুরসভার পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য, পুরসভার কাছে সব অনুদানের টাকার হিসেব রয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটাই হয় অনলাইনে। অবৈধভাবে কোনও টাকা তোলা হয়নি।
তাঁর আরও অভিযোগ, অনুদান নেওয়াটা বেআইনি নয়। পুরসভাগুলি এইরকম অনুদান নিয়েই থাকে। সবকিছুরই অডিট হয়। বহুমানুষ স্বেচ্ছায় অনুদান দিয়ে থাকেন। দুঃস্থ মানুষদের উন্নয়নের খাতে এই টাকা খরচ করা হয়।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।