এগরায় বাজি বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ৯। আহত বহু। এদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। তবে গ্রামবাসীদের অনেকের অনুমান মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। বাজি তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণ নাকি বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গ্রামে হঠাৎ বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজ শোনা যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখা যায় চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক দেহ, দেহাংশ। আপাতত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু গ্রামবাসীদের একাংশের মতে ২০-২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গ্রামবাসীরা আরও জানাচ্ছেন, যেখানে বিস্ফোরণটি হয় সেটি একটি বাজি কারখানা। কারখানাটি অবৈধ। ওই কারখানায় অবৈধভাবে বাজি তৈরি করা হতো। গ্রামের অনেকেই এই কাজের সাথে যুক্ত। তাই কেউ বাধা দিত না। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে এক একটি দেহ ছিটকে গিয়ে পাশের মাঠে, পুকুরে ও রাস্তায় উড়ে গিয়ে পড়েছে। কারখানার ইটের দেওয়ালও ভেঙে যায়। কারখানার ভিতর যা যা সরঞ্জাম ছিল সবকিছু ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুলিশের ওপরও চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। পুলিশকে মারধরও করে বেশ কয়েকজন। স্থানীয়দের প্রশ্ন, পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি? তাঁদের অভিযোগ, কেবল টাকা তুলতে আসতো পুলিশ। প্রথমে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে পুলিশ পালালেও পরে বিশাল পুলিশ বাহিনীর সাথে দমকল কর্মীরাও ঘটনাস্থলে যান।
আরও জানা যাচ্ছে, ওই কারখানাটি স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার। যিনি ঘটনার পর থেকেই পলাতক। এই নেতাকে এক বছর আগেও পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। পরে জামিনে ছাড়া পায়। পুরো ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি, বাজি কারখানার আড়ালে বোমা বাঁধার কাজ চলতো। পঞ্চায়েতের আগে বোমা মজুত করার কাজ চলছিল। তাতেই এই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।