

জাঙ্গিপাড়ায় নিহত নাবালিকার বাড়িতে গেলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। শনিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ার শ্রীহট্ট এলাকার একটি ঝিল থেকে উদ্ধার হয় ওই নাবালিকার মৃতদেহ। দশমীর রাত থেকে নিখোঁজ ছিল ওই নাবালিকা। তার পরিবারের অভিযোগ তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে হুগলি জেলা সিপিআইএম সম্পাদক দেবব্রত ঘোষের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নাবালিকার পরিবারের সাথে দেখা করেন। সেখান থেকে জাঙ্গিপাড়া থানায় যান প্রতিনিধি দল। সঠিক তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।
সিপিআইএম ছাড়াও কংগ্রেস ও বিজেপির প্রতিনিধি দলও এদিন যান। রবিবার সকালে প্রথমে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল নিহত নাবালিকার পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য কৃষ্ণপুর গ্রামে যান। যদিও গ্রামবাসীদের বাধার মুখে পড়ে গ্রামে ঢুকতে না পেরে ফিরে যান তাঁরা। এরপর দুপুরে পৃথক পৃথকভাবে সিপিআইএম এবং বিজেপির প্রতিনিধি দল গ্রামে যান। এঁরা নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন। তবে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা এই ঘটনায় কোনও রাজনীতি চাইছেন না। তাঁরা কেবল দোষীদের শাস্তি চান।
অন্যদিকে, পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাবালিকাটি যখন নিখোঁজ হয় তখন তার সাথে একটি সাইকেল ছিল। পুলিশ এই সাইকেল খুঁজছে এখন। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে পুলিশ-কুকুর নিয়েও তল্লাশি চালানো হয়েছে এলাকায়। হুগলির গ্রামীণ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে না। তবে পুরো বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন