
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে একের পর এক তৃণমূল কাউন্সিলর থেকে শুরু করে বহু তৃণমূল ঘনিষ্ঠের চাকরি বাতিল হয়েছে। এরই মধ্যে শাসক শিবিরে আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছেন বারাসতের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল কাউন্সিলর চৈতালী ভট্টাচার্যের স্বামী সজল কুমার ভট্টাচার্য। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে বাম আমলকে ঢাল করতে হল তাঁকে।
ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। উচ্চমাধ্যমিক চলায় অভিভাবকদের জন্য অস্থায়ী বিশ্রামস্থল করেছেন চৈতালী ভট্টাচার্য। সেই প্রচার করতে গিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউন্সিলরের স্বামী লেখেন, "বারাসাতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য দু'টি বিশ্রামস্থল তৈরি করে দেন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শিক্ষিকা ( ২০০৬ সালে নিয়োগ ) চৈতালী ভট্টাচার্য"। এর আগে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা বার্তার জন্য একটি পোস্টারেও '২০০৬ সালে নিয়োগ' কথাটি উল্লেখ করেছিলেন চৈতালী ভট্টাচার্য।
যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। একজন লিখেছেন, তৃণমূলের আমলে নিয়োগের এমন হাল যে লিখে দিতে হচ্ছে উনি ২০০৬ সালে বাম আমলে চাকরি পেয়েছিলেন! আবার কেউ লিখেছেন, "সিপিএম সরকার ছিল তাই নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলেন। আপনার দল সরকারে থাকলে আপনাকে ঘুষের টাকায় চাকরি নিতে হতো। তারপর সেই চাকরিও চলে যেত"। সোশ্যাল মিডিয়াতেই ওই কাউন্সিলরের স্বামী লিখছেন ২০০৬ সাল উল্লেখ করতে পরিস্থিতি বাধ্য করছে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলের একাধিকবার অভিযোগ করেছিল বামফ্রন্ট সরকারের সময়ও অনেকে অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিল। সম্প্রতি মমতা ব্যানার্জি বলেন - "আমি ক্ষমতায় আসার পর একটাও সিপিআইএম ক্যাডারের চাকরি খাইনি। তোমরা কেন খাচ্ছ? দেওয়ার ক্ষমতা নেই, শুধু কাড়বার ক্ষমতা আছে!"।
কিন্তু নির্দল কাউন্সিলরের স্বামী কেন এমনটা লিখতে গেলেন? সেই নিয়ে আপাতত জল্পনা তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন