
সিবিআই হেফাজতে বগটুই গণহত্যার মূল অভিযুক্ত লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুকাণ্ডে জেরে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তবে এবার, সিবিআই-র ৭ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হতেই রাজ্য পুলিশের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা আইনি পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অবিলম্বে এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সিবিআই-কে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। বুধবার দুপুর ৩টের সময় সেই মামলার শুনানি হবে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মাঝরাত পর্যন্ত এই নিয়ে বৈঠক করেছেন সিবিআই-র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অজয় ভাটনগর। স্পেশাল ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের এসপি এবং ডিআইজিকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
ইতিমধ্যেই লালনের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বগটুই গ্রামে। অবশেষে তাঁর দেহ নিতে রাজি হয়েছে পরিবার। লালনের মৃত্যুর তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিআইডিকে। অন্যদিকে, বগটুইকাণ্ডের যাবতীয় প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হচ্ছে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক শিবির।
বুধবার রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লালনের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বুধবার বগটুই গ্রামেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ঘটনাস্থলে থাকছেন রামপুরহাটের এসডিপিও। সূত্রের খবর, কড়া নিরাপত্তায় লালনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর গ্রামে। ইতিমধ্যেই বিচার চেয়ে সিবিআই ক্যাম্প অফিসের সামনে ধর্নায় বসেছে তাঁর পরিবার। পুলিশে ছয়লাপ সারা বগটুই গ্রাম।
গত সোমবার বিকেল ৪:৪০ নাগাদ রামপুরহাটের সিবিআই-র অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে রহস্যজনক মৃত্যু বগটুই গণহত্যার মূল অভিযুক্তর। গলায় লাল গামছা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় সিবিআই-র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে লালনের স্ত্রী ও পরিবার। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, সিবিআই-র বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিআইডি।
যে ৭ জন সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন সুশান্ত ভট্টাচার্য নামে এক সিবিআই আধিকারিক। তিনি গরু পাচার মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হিসাবে কাজ করছেন। ওই মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারও করেছিলেন সুশান্ত।