

৯৬ ঘণ্টা পার, তবু আন্দোলনে অনড় কলকাতা মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হলে আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই দাবি জারি রেখেই অনশনের পথ বেছে নিয়েছেন পড়ুয়ারা। যার জেরে অসুস্থ হয়েছেন বহু। পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে এবার কনভেনশনের ডাক দিলেন চিকিৎসকদের একাংশ।
সোমবার, অনশন চলাকালীন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন মেডিকেল পড়ুয়া ঋতম মুখোপাধ্যায়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, রক্তচাপ কমে যাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ঋতম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পড়ুয়াদের পাশে থাকতে হাসপাতালের ভিতরেই কনভেনশনের আয়োজন করা হবে।
পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম ফর ডক্টর্স। কলেজে এসে সংগঠনের আহ্বায়ক পুণ্যব্রত গুণ বলেন, আন্দোলনটা বৈধ। শাসকদল হেরে যাবে সেই ভয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্বাচনটা এড়াতে টালবাহানা করছে।
পাশাপাশি, ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে হাজির হন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু পড়ুয়া। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি ইরফান সাদিকের কথায়, শুধু কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ নয়। রাজ্যের কোনও কলেজে নির্বাচিত ছাত্র সংসদ না থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন পড়ুয়ারা।
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসেছেন পড়ুয়ারা। ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। জানা গেছে, ছাত্র সংসদের নির্বাচন সহ ৩ দফা দাবি নিয়ে অনশনে বসেছেন ৫ পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৩ জন।
সমস্যার সমাধানে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ভবনে বৈঠক ডেকেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার, ডিন এবং আন্দোলনরত পড়ুয়াদের চারজন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বলেই জানা গেছে। তবে, সেই বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার কোনও সমাধান হয় কিনা, সেটাই দেখার।
অন্যদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়েছে, আগামী ২২ ডিসেম্বর কোনওভাবেই নির্বাচন করা সম্ভব না। কলকাতা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার বৈঠক আছে। ওদেরকে (ছাত্রদের) বলছি, অনশন তুলে নিক। আলোচনা চলবে। পাল্টা আন্দোলনরত পড়ুয়া অনিকেত কর জানান, আমাদের মিটিং-র ব্যাপারে কেউ কিছু জানায়নি। নোটিফিকেশন দিলে, তবেই যাব।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন