২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ভুল এসেছিল। ফলে অনেকেই চাকরি পাননি। এমনই অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় এবার কলকাতা হাইকোর্ট সশরীরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী কাল সোমবার তাঁকে হাইকোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আদালত সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা হয় পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে। সেই পরীক্ষায় ৬টি প্রশ্নে ভুল ছিল। এই অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে হাইকোর্টের বিচারপতি রায় দেন। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওই ৬টি ভুল প্রশ্নে কোনও পরীক্ষার্থী যদি উত্তর দেন, তাহলে তাঁকে পুরো নম্বর দিতে হবে।
২০২০ সালে অনেককেই পর্ষদ নিয়োগপত্র দিয়েছিল। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে। এদিকে ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়কে বাস্তবায়িত করার রূপরেখা না পেয়েই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে সশরীরে তলব করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৭ দিনের মধ্যে মামলাকারীদের পুরো নম্বর দিতে হবে। তারপর টেট উত্তীর্ণ হওয়ার যোগ্যতামানে গেলে তাঁদের নাম চাকরির জন্য বিবেচনা করতে হবে। অন্যদিকে, ১৯ জন মামলাকারীর প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পর্ষদ সভাপতির নিজস্ব রোজগার থেকে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় এসেই শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, এবার পুজোর আগে ২৪,৫০০ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি পুজোর পরে ৭,৫০০ জনের হাতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করবে রাজ্য।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।