

অবৈধ ভাবে বালি তুলতে গিয়ে প্রাণ হারালো দুই শিশু শ্রমিক সহ মোট ৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির বালাসন নদীতে। প্রশাসনের বিরুদ্ধের গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
বালাসন নদীর চর থেকে রাতের অন্ধকারে বালি তুলতে গিয়েই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটলো। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বালাসন নদীর চরে বালির স্তূপ আছে। সেখান থেকেই তিন শিশু শ্রমিক সহ মোট চার জন রাতে বালি ও পাথর তুলছিল। সেই স্তূপের কিছু অংশ ভেঙে পড়ে ওই চার জনের ওপর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিন জনের। অন্য একজন আহত হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।
ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মৃতদের মধ্যে শ্যামল সাহানির বয়স ১৫, রোহিত সাহানির বয়স ১৫ এবং মনু কুমারের বয়স ২০ বছর। তিন জনের মধ্যে একজন শিলিগুড়িতে আত্মীয়ের বাড়ি ঘুরতে এসেছিল। অর্থের লোভেই তারা নদী থেকে বালি তুলতে গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই অঞ্চলে বালি তোলা বন্ধ ছিল। কিন্তু তারপরেও অনেকে বালি তুলে অবৈধভাবেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। লরি করে রাতের অন্ধকারেই বেআইনি ব্যবসা চলছে। কিন্তু প্রশাসন চুপ। যদিও প্রশাসনের আধিকারিকদের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
মৃত রোহিত সাহানির পরিবারের এক সদস্য বলেন, রাত থেকেই বালি কাটার কাজ চলছিল। প্রায়ই এমন কাজ চলে। ওদের সকলে বলা হয়েছিল নদীতে না যেতে। কিন্তু অর্থের লোভে তারা ভোরের দিকে বালি কাটতে চলে যায়। তারপরই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন