

‘বিদেশে গিয়ে দেশের বদনাম করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদী নিজেই।’ বিজেপির আক্রমণের মুখে পাল্টা এই দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তৃতায় ‘ভারতের অপমান’ করেছেন রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছিল বিজেপি। বিজেপির এই অভিযোগের পাল্টা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। শনিবার সন্ধায়, ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইজেএ)-এর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘আমার যতদূর মনে পড়ছে, প্রধানমন্ত্রীই বিদেশে গিয়ে বার বার দাবি করে এসেছেন যে, স্বাধীনতার ৬০-৭০ বছর পরেও দেশের কোনও উন্নতি হয়নি।’
রাহুল গান্ধী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে দেশ জুড়ে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটাকে অস্বীকার করে দেশের অপমান করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী নিজেই! শুধু দেশে নয়, বিদেশে গিয়েও ভারতের অপমান করে এসেছেন তিনি।’
মোদীর বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুল বলেন, ‘আসল ঘটনা হল, বিদেশে গিয়ে যে ব্যক্তি ভারতের অপমান করেছেন, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আপনারা কি তাঁর বক্তব্য শোনেননি? তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতে কিছুই হয়নি। বহু সময় নষ্ট করা হয়েছে। ভারতে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর এই বক্তব্য কি দেশ এবং দেশের মানুষকে আপমান নয়?’
কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘২০১৫ সালের মে মাসে, দক্ষিণ কোরিয়া সফরকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, একটা সময় ছিল যখন ভারতে জন্ম নেওয়ায় জন্য মানুষ অনুশোচনা করত এবং দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলত। এখানে কিছুই হবে না, এই ভেবে তাঁরা বিদেশে চলে যেত। কিন্তু, এখন সেই মানুষেরাই আবার দেশে ফিরতে চাইছে। কম আয় হলেও, তাঁরা দেশে ফিরতে প্রস্তুত। আসলে মেজাজ বদলে গেছে।’
এরপরেই তিনি বলেন, ‘আমি কোনও দিনই বিদেশের মাটিতে দেশের বদনাম করিনি। এতে আমি আগ্রহীও নই। আমি এটি কখনোই করব না। তবে, আশা করছি, আমি যা বলেছি, তা বিজেপি বুঝতে পারছে।'
শুধু বিজেপি নয়, এদিন লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় BBC-র অফিসে আয়কর হানা (সমীক্ষা) ও আদানি প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, 'ভারতে কিভাবে কণ্ঠরোধ চলছে, বিবিসির ঘটনা তারই উদাহরণ। এটার সঙ্গে আদানির ঘটনারও মিল রয়েছে। এটা কতকটা ঔপনিবেশিক।'
কংগ্রেস নেতা বলেন, 'গত ৯ বছর ধরে, কণ্ঠরোধ করার এই প্রবণতা চলছে। সাংবাদিকদের ধমক দেওয়া হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি এই সরকারের থেকে অন্য কিছু আশা করি না। বিবিসি (BBC) আজ যদি সরকার বিরোধী খবর পরিবেশন করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে সব আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এটাই নতুন ভারতের ধারণা। বিজেপি ভারতকে বাকরুদ্ধ করে রাখতে চায়। বিজেপি ভারতের জনগণকে চুপ রাখতে চায়, যাতে সেই সুযোগে তারা দেশের সব সম্পদ তাদের বন্ধুদের হস্তগত করতে পারে।'
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন