

যাদবপুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (TMCP) ও এসএফআই (SFI) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ জলপাইগুড়িতে। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, টিএমসিপি দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসএফআই অফিস দখল করার নামে সিপিআই(এম)-র জেলা অফিস সুবোধ সেন ভবন দখল করতে গিয়েছিল। বাধা দিতেই দুই পক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হয়। ঘটনায় দু'পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা ৮টা ১৫ নাগাদ। সূত্রের খবর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা সেই সময় বাঁশ, লাঠি নিয়ে পুলিশের সামনেই জেলা সিপিআইএম দপ্তরের দিকে অগ্রসর হয়। খবর পেয়ে জেলা দপ্তরে পৌঁছে যায় সিপিআইএম ও এসএফআই-র কর্মীরা। সুবোধ সেন ভবনের সামনেই ধস্তাধস্তি হাতাহাতি শুরু হয়ে দুই পক্ষের মধ্যে। বেশ কিছুক্ষণ চলে স্লোগান-পাল্টা স্লোগান। পরে পুলিশ তৃণমূল ছাত্রপরিষদ ও এসএফআই কর্মীদের কিছুটা দূরে ঠেলে দেয়।
এসএফআই কর্মীদের অভিযোগ, সিপিআইএম জেলা দপ্তরের সামনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা কটূক্তি করতে থাকে। পুলিশের সামনেই ঢিল, বাঁশ, কাচের বোতল ছোড়া শুরু করে। ঘটনায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন এসএফআই কর্মী। আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য নেতা দেবজিৎ সরকার আক্রান্ত এসএফআই কর্মীদের উপর চড়াও হয়। হাসপাতালেই এসএফআই কর্মীরা ও হাসপাতাল কর্মীরা একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বাধ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
এসএফআই সূত্রে খবর, জেলা দপ্তরের মিছিল করে এসে হামলা চালানোর ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভ্রদীপ সরকার, দেবজিৎ সরকার, গৌরব ঘোষ এছাড়াও ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নিলম শর্মা, জেলা তৃণমূলের যুব নেতা অজয় শাহ সহ অন্যান্য দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ চারজন প্রাক্তন এসএফআই কর্মী পার্টির রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিয়াউল আলম, জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পীযূষ মিশ্র, পার্টির জেলা কমিটির সদস্য সহ একাধিক জনকে থানায় নিয়ে যায়।
সিপিআই(এম) জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, "তৃণমূল দল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুষ্কৃতিদের দিয়ে জেলা সিপিআইএম কার্যালয় হামলা করেছিল পুলিশের সামনে। উর্দিধারীরা নিজেদের পদোন্নতির জন্য পার্টি নেতৃবৃন্দকে সিপিআইএম জেলা কার্যালয়ের সামনে থেকে অ্যারেস্ট করেছে। আমরা ছাত্র যুব সহ সমস্ত পার্টি কর্মীদের সংযত থাকতে বলেছি আমরা আশা রাখি প্রশাসন হামলাকারী তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করবে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন