TMC: 'দিদির দূত' কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ একাধিক তৃণমূল নেতা

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিভিন্ন কাজে পঞ্চায়েতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই খালি হাতে ফিরতে হয়। এমনকি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সবার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। কারুর কথাই তিনি শুনতে চান না।
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

'দিদির দূত' কর্মসূচিতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। যা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কার্যত অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসক শিবিরে।

বৃহস্পতিবার নদীয়ার চাকদহে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাকে দেখেই ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীদের একাংশ। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিভিন্ন কাজে পঞ্চায়েতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই খালি হাতে ফিরতে হয়। এমনকি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সবার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। কারুর কথাই তিনি শুনতে চান না। সূত্রের খবর, যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সকলেই তৃণমূল সমর্থক বলেই পরিচিত।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ শুনে হাত জোড় করে ক্ষমা চান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় ভুল ত্রুটি হয়েছে। তার সংশোধন করার জন্যই দিদি সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি। দলের অনেকেই ভুল করেছেন। তাই আমার ক্ষমা চাইতে কোন অসুবিধা নেই।

শুধু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নন, দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের। তিনি ভরতপুরে এক গ্রামবাসীকে লক্ষ্মীর ভান্ডারের কথা জিজ্ঞাসা করতেই ওই গ্রামবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, বহুবার লক্ষীর ভান্ডার এর জন্য যাবতীয় নথি জমা করেছিলাম। কিন্তু আজও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ঢোকেনি। পঞ্চায়েত মেম্বারের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলাম। অনেকের হয়েছে কিন্তু আমরা বঞ্চিত হয়েছি।

আবু তাহের বলেছিলেন, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমস্ত রকম খোঁজখবর নিচ্ছি। মিড ডে মিল থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভান্ডার সবাই পাচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা যারা এখনো লক্ষীর ভান্ডার পায়নি তাদের সমস্ত অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
TET Scam: প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নামে ১৯.৫ কোটি টাকা তুলেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক!

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in