
উত্তরবঙ্গে সময়ের আগেই প্রবেশ করেছে মৌসুমি বায়ু। এদিকে জুনের মাঝামাঝি হতে চলল, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে দেখা নেই বর্ষার। গত সপ্তাহে কয়েক দিন ঝড়বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম বজায় রয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে। এমনকি বেশ কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই আবহে কিছুটা স্বস্তির খবর শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। জানাল, চলতি সপ্তাহেই সক্রিয় হতে পারে মৌসুমি বায়ু। যার জেরে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। এছাড়া বৃষ্টি চলবে উত্তরেও।
সাধারণত জুনের ১০-১৫ তারিখের মধ্যে বর্ষা ঢুকে যায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কিন্তু এবার ১০ তারিখ পেরিয়ে গেলেও দক্ষিণে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেনি। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, আগামী শনিবার মৌসুমি বায়ু মধ্য ও পূর্ব ভারতের কিছু রাজ্যে প্রবেশ করবে। এছাড়া মৌসুমি অক্ষরেখা ওড়িশা, ছত্তীসগঢ় হয়ে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে দেশের পূর্ব অংশে কবে মৌসুমি বায়ু সচল হব, তা নিয়ে এখনও কোনও পূর্বাভাস দেয়নি আবহাওয়া দপ্তর।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে গরমের কারণে অস্বস্তিকর পরিবেশ থাকবে। এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। তবে কলকাতা-সহ দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে এদিন সকালে অস্বস্তি থাকলেও সন্ধ্যের পর বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে হাওয়া। কলকাতা ছাড়াও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়াতেও। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টি চলবে। রবিবার থেকে বাড়বে বৃষ্টি।
ইতিমধ্যেই গরমের কারণে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত সরকার এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি আগামী দু'দিন অর্থাৎ শুক্রবার এবং শনিবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
উত্তরবঙ্গে সপ্তাহ জুড়েই ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। এদিন উত্তরের পাঁচ জেলা - দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভবনা বেশি থাকবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিংয়ে। শনিবার পর্যন্ত চলবে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তরের এই পাঁচ জেলায়। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে একটানা ভারী বৃষ্টি চলবে। ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।