
মাসখানেক গরমের ছুটির পর গত ২ জুন থেকে শুরু হয়েছিল স্কুলের পঠন-পাঠন। কিন্তু গত কয়েকদিনে ফের গরম বাড়ায় নাজেহাল মানুষ। বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার জেরে বিভিন্ন জেলা থেকে স্কুলে থাকাকালীন পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুলগুলিতে ফের দু'দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য।
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই খবর জানিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুক্রবার এবং শনিবার পার্বত্য জেলাগুলি ছাড়া রাজ্যের সমস্ত জেলার সরকার এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি ছুটি থাকবে। এ দু'দিন প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে বন্ধ থাকবে পঠন-পাঠন। সংশ্লিষ্ট বোর্ড ও কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে এই দু'দিন শিক্ষকদের স্কুলে যেতে হবে কিনা, তা বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট নয়।
নির্ধারিত সময়ের আগে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও দেখা মেলেনি বর্ষার। আর যার জেরে বাড়ছে গরম। দুপুর হলেই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। খবর মিলছে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ারও। এই আবহে সপ্তাহখানেক আগে একাধিক জেলায় প্রাথমিক স্কুলগুলিতে সকালে ক্লাস করানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যালয় সংসদ (ডিপিএসসি)। ঠিক হয়, সোম থেকে শুক্র সকাল সাড়ে ছ'টা থেকে ১১টা এবং শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ক্লাস হবে।
কিন্তু পরে এনিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের নির্দেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এদিকে দুপুরে স্কুলের ফলে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর আসছিল। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগও দায়ের হয়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারকে চিঠি দেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এরপরেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় রাজ্য সরকার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন