Smart Meter: পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে স্মার্ট মিটার, বিধানসভায় জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী

People's Reporter: বিক্ষোভের আবহে সোমবার রাজ্যের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত উপভোক্তাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ রাখা হচ্ছে।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি ছবি - সংগৃহীত
Published on

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে বিক্ষোভের এবার প্রিপেড মিটার নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার। বুধবার বিধানসভা অধিবেশনে রাজ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়ে দিলেন, স্থগিত নয়, পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে স্মার্ট মিটার। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, বর্তমানে যে সমস্ত স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে, সেগুলিও সাধারণ মিটারে রূপান্তরিত করা হবে। অর্থাৎ পূর্বের মতো তিন মাসে বিল জমা দিতে পারবেন গ্রাহকেরা।

বুধবার বিধানসভার অধিবেশনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্মার্ট মিটার নিয়ে বিভ্রান্তির কথা জানান। এবিষয়ে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে বিবৃতি দেওয়ার কথা বলেন। এরপরেই তিনি বলেন, "আমরা সবার জন্য বলছি, এখন থেকে স্মার্ট মিটারকে সাধারণ মিটার হিসাবে ব্যবহার করা হবে। আগে গ্রাহকরা যেভাবে তিন মাসে বিদ্যুৎ বিল দিতেন, এখন সেভাবেই বিল দেবেন। আর কাউকে আগাম টাকা দিতে হবে না। এবার থেকে পোস্ট পেড পেমেন্টই হবে। এখন যে মিটার আছে তা তিন মাস পর থেকে সাধারণ মিটার হবে"।

এর পরেই দু’টি গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি হাতে তুলে মন্ত্রী বলেন, “এই দু’টি গেজ়েট নোটিফিকেশন প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার বলপূর্বক আমাদের উপর স্মার্ট মিটার বসানোর দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের জনদরদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন স্মার্ট মিটার লাগানোর কাজ বন্ধ করে দিতে হবে। তাই স্মার্ট মিটার লাগানোর কাজ আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই, তিনি স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ করে দিয়েছেন"।

উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি দফতর এবং টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার ছাড়াও তিন-চারটি জেলায় কিছু সংখ্যক উপভোক্তার বাড়িতে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রায় আড়াই লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানো হয়। যার মধ্যে ৬০ হাজারের ওপর সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহক। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। অভিযোগ, পুরানো মিটারে যে বিল আসত, স্মার্ট মিটারে তার থেকে কয়েকগুণ বেশি বিল আসতে শুরু করেছে।

এই অভিযোগের পর সোমবার রাজ্যের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আপাতত উপভোক্তাদের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, "গার্হস্থ্য উপভোক্তার বাড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে স্মার্ট মিটার লাগানোর পর কিছু অভিযোগ আসায় প্রয়োজন মোতাবেক পদক্ষেপ করার জন্য গার্হ্যস্থ উপভোক্তার বাড়িতে স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ রাখা হলো"। তার দু'দিনের মধ্যেই রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানিয়ে দিল স্মার্ট মিটার বন্ধের কথা।

তা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্মার্ট মিটার খুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে আবেদন জমা দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। তাদের দাবি, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিপুল জনবিক্ষোভের ফলে সরকার পিছু হটতে বাধ্য হলেও, পরে যে কোনও সময় আবার পোস্ট পেড থেকে স্মার্ট মিটারকে প্রিপেড করে দিতে পিছুপা হবে না সরকার। ফলে স্মার্ট মিটার ফিরিয়ে ডিইটাল মিটার আনতে হবে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in