

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দমকলের পর এবার রাজ্যের পরিবহন। ক্ষোভ উগরে দিলেন বাস চালকেরা। অবিলম্বে সমকাজে সমবেতনের দাবিতে পুজোর মুখেই ধর্মঘটে নামলেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস চালকরা।
বুধবার সকাল থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে বাস ডিপোর সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে সামিল হন হাওড়ার শিবপুরের চালকরা। যার জেরে কার্যত অচল হয়ে পড়ে আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা। বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। শুধু শিবপুর নয়, হলদিয়া, দিঘা, মেদিনীপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট, বর্ধমান, দুর্গাপুর-সহ বহু বাস ডিপোয় শুরু হয়েছে ধর্মঘট।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রত্যহ ৫১৯ টাকা মজুরিতে তাঁরা দীর্ঘদিন যাবৎ বাস চালাচ্ছেন। মাসের ২৬ দিন কাজ করতে চাইলেও প্রতিদিন তাঁদের কাজ করতে দেওয়া হয় না।
এ প্রসঙ্গে শিবপুর ডিপোর এক বাস চালকের কথায়, আমরা 'নো ওয়ার্ক, নো পে'-র ভিত্তিতে কাজ করি। প্রতি মাসে সব মিলিয়ে আমাদের রোজগার ১০-১২ হাজার টাকা। এই টাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে সংসার চালানো সম্ভব? আমাদের দাবি না মানা হলে এই আন্দোলন চলতেই থাকবে।
বাস চালকদের দাবি, অবিলম্বে সমকাজে সমবেতন চালু করতে হবে রাজ্য সরকারকে। ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যেসব চালকরা বাস চালাচ্ছেন তাঁদের সবাইকে স্থায়ী করতে হবে। এছাড়াও, তাঁদের স্থায়ী কর্মচারীদের মতই ছুটি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
প্রতিবছর বেতন বৃদ্ধি বাস চালকদের প্রাপ্য অধিকারের মধ্যেই পড়ে। এই দাবি তুলে ধর্মঘটের স্থল থেকে স্লোগান দেন তাঁরা। অস্থায়ী বাস চালকদের অভিযোগ, প্রতিটি সমস্যার কথা উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও কোনও প্রতিকার হয়নি।
উল্লেখ্য, হাওড়ার শিবপুর থেকে প্রতিদিন প্রায় ২৫ টি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। ধর্মঘটের জেরে বুধবার মাত্র ৩টি বাস চালানো হয়েছে। সূত্রের খবর, অস্থায়ী চালকদের ধর্মঘটের জেরে আপাতত বাস চালাচ্ছেন স্থায়ী চালকরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন