

সন্দেশখালির ঘটনায় আটক করা হল প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে। রবিবার কলকাতার বাঁশদ্রোণী এলাকা থেকে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করার পর সিপিআইএম নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশদ্রোণী থানায়। নিরাপদ সর্দারের আটক হবার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাঁশদ্রোণী থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সিপিআইএম সমর্থকরা। সিপিআইএম-এর অভিযোগ বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিরাপদ সর্দারকে।
এদিনই সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আটকানো হয়েছে বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধায় সহ এক প্রতিনিধি দলকে। এই প্রতিনিধিদলে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন ধ্রুবজ্যোতি সাহা, কলতান দাশগুপ্ত, এসএফআই নেতা দেবাঞ্জন দে, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেত্রী কনীনিকা বোস।
সন্দেশখালিতে বিগত কয়েকদিন ধরে চলা অশান্তির জেরে এর আগেই নিরাপদ সর্দার সহ ১১১ জনের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সিপিআইএম-এর অভিযোগ সন্দেশখালির ১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের এমন কোনও অঞ্চল নেই যেখানে মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন। সব জায়গাতেই তৃণমূল নেতা শাহজাহানের নেতৃত্বে অত্যাচার চলে। যার বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন বলেই তাঁদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নামিয়ে এনেছে প্রশাসন। দোষীদের গ্রেপ্তার না করে আন্দোলনকারী সাধারণ মানুষের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
সন্দেশখালির ঘটনায় সিপিআইএম নেতা নিরাপদ সর্দার শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার সহ একাধিক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। গতকালই আটক করা হয়েছে তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে। যদিও নিরাপদ সর্দারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা শিবু হাজরা এখনও বেপাত্তা। তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেনা পুলিশ।
জানা গেছে তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে নিরাপদ সর্দারকে। তৃণমূল নেতার অভিযোগ ছিল নিরাপদ সর্দারের নেতৃত্বেই শিবু হাজরার ফার্মে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। যদিও সিপিআইএম-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গত ৭ ও ৮ তারিখ দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক চলছিল। নিরাপদ সর্দার দলীয় সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। ফলে কোনোভাবেই ঘটনার সময় তাঁর পক্ষে ওই অঞ্চলে থাকা সম্ভব নয়।
নিরাপদ সর্দারের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, শাহজাহান, শিবুর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিল নিরাপদ। সেই কারণেই ওকে আটক করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন