
মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি তিনি দলনেত্রীও বটে। তাঁর সজাগ দৃষ্টি সর্বত্রই। প্রমাণ হয়ে গেলো আরো একবার। তাই প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই দলীয় প্রার্থী নিয়ে দলেরই এক দাপুটে নেত্রীকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। সকলকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিলেন।
বৃহস্পতিবার নদীয়ার কৃষ্ণনগরে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'সকলকে নিয়েই চলতে হবে। দল কাকে প্রার্থী করবে সেটা দলের ভাবনা। কাজ করে যেতে হবে সকলকেই। এটা মাথায় রাখা উচিত।' উল্লেখ্য, সম্প্রতি এই জেলার গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দলের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার বার্তা দেওয়া হয়। তাই এবার তা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নদিয়া জেলার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করে ইউটিউবে সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গোটা নেট মাধ্যমে। একইসঙ্গে দলের অস্বস্তিও বাড়ে। এই ভিডিও বার্তায় অভিযোগ তোলা হয়, মহুয়া মৈত্র জেলার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ না রেখে নিজের মতো কাজ করছেন। এমনকী বিষয়টি নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি এবং মহাসচিবেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা।
সেই কথা স্মরণ করিয়ে এবার মহুয়াকে কড়া বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মহুয়া আমি একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। কে কার পক্ষে-বিপক্ষে দেখার আমার দরকার নেই। আমি সাজিয়ে কিছু লোক পাঠিয়ে ইউটিউবে অথবা ডিজিটাল মাধ্যমে অথবা পেপারে দিয়ে দিলাম, এই রাজনীতি একদিন চলতে পারে, চিরদিন নয়। একই লোক চিরদিন এক জায়গায় থাকবে, এটাও মেনে নেওয়া ঠিক নয়। যখন ভোট হবে পার্টি ঠিক করবে কে লড়বে, কে না। এখানে মতপার্থক্যের কোনও জায়গা নেই। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এটা আমি বলে গেলাম।'
তবে বর্তমানে মহুয়া মৈত্রকে গোয়ার সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটা তাঁর কাছে একটা বড় সাফল্য বলা যেতেই পারে। তবে তাঁকে হঠাৎ করে গোয়ার দায়িত্ব কেন দেওয়া হল সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছিল সব মহলেই। এবার প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি মহুয়াকে আগামীদিনে নদিয়া জেলার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন