বিরোধী দলনেতার লালবাতি নিভতে চলেছে, শুভেন্দুকে ফিরতে হবে তৃণমূলেই, দাবি রাজ্যের মন্ত্রীর

সৌমেন মহাপাত্র বলেন, 'কিছুদিনের মধ্যে বিরোধী দলনেতার লালবাতি নিভতে চলেছে। তিনিও তৃণমূলে ভিড়তে পারেন।'
শুভেন্দু অধিকারী
শুভেন্দু অধিকারীফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

বিধানসভায় বিরোধীদলের সবথেকে বড় ভাঙন নাকি শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এমনই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।

গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে তাবড় তাবড় নেতারা গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছিলেন। ভোটে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ার পর লাইন দিয়ে আবার তাঁরাই তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেন। কেউ প্রকাশ্যে নিজের ভুল স্বীকার করেন। আবার কেউ ঘাসফুলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে ঘরে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

এই তালিকায় আছেন মুকুল রায়ের মতো গত তিন বছর আগে বিজেপিতে যোগদান করা রাজনৈতিক নেতা। আছেন সোনালি গুহ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, সুনীল মণ্ডল। দলবদলু থেকে 'ঘর ওয়াপসি'র তালিকার নাম লিখিয়েছেন এরকম অনেকেই। এমনকী বিজেপি থেকেই রাজনৈতিক কেরিয়ার গড়া দুবারের সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেন। কয়েকদিন বাদেই পুরভোট। তার আগে রাজ্যের মন্ত্রীর এই বক্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্যে।

নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখ এখন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের নতুন দলকে জেতাতে পারেননি ঠিকই। কিন্তু দলনেতা হয়ে তৃণমূলের বিরোধিতা করে গিয়েছেন ১০০ শতাংশই।

সেই শুভেন্দুকে নিয়েই সৌমেন মহাপাত্র বলেন, 'কিছুদিনের মধ্যে বিরোধী দলনেতার লালবাতি নিভতে চলেছে। তিনিও তৃণমূলে ভিড়তে পারেন।' মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, 'নন্দীগ্রাম বিধানসভার ফল নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেই মামলার রায় বেরোলেই তিনি আর বিরোধী দলনেতা থাকবেন না।'

তাঁর কটাক্ষ, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা কমে ৩০ হয়ে যাবে। নন্দীগ্রামের সভায় পেট্রোল-ডিজেল, রান্নার গ্যাস-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় সৌমেনবাবুকে।

শুভেন্দু অধিকারী
'টপ টু বটম করাপ্টেড' রাজীবকে দলে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ কল্যাণ, 'কেউ কথা রাখেনি' কবিতা দিয়ে খোঁচা মমতাকেও

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in