
কাজ শেষ হওয়ার আগেই উদ্বোধন! ফলাফল ভুগছে সাধারণ মানুষ। দিঘা, শঙ্করপুর, তাজপুর এবং মন্দারমণির যাত্রাপথকে একত্রিত করতে পুজোর আগে ১৭৩ কোটি টাকা খরচ করে রাজ্য সরকার তৈরী করেছিল মেরিন ড্রাইভ। শারদ উৎসবের ছুটিতে সেখানে বেড়াতে গিয়ে ঘোর বিপাকে পড়ল জনগণ।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর নিমতৌড়িতে এক প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ৩০ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তাটির উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এক মাস না পেরোতেই রাস্তার বেহাল দশার কারণে রাজ্যের সেচ ও জলপথ দপ্তরের তরফে মেরিন ড্রাইভের দুপাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে পর্যটক এবং স্থানীয়দের যান চলাচল। কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার আগেই প্রশাসন কীভাবে রাস্তা খুলে দিল সেই প্রশ্ন তুলেছে সাধারন মানুষ। সরকারি দপ্তরে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে এই নিয়ে।
পর্যটকদের অভিযোগ, শঙ্করপুরের মুখে এসেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। গোটা রাস্তাটি গর্তে ভরা, কোনও কোনও গর্ত প্রায় ৩ ফুট গভীর, অথচ নেই কোনও সতর্কতা বোর্ড। যার জেরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হচ্ছে তাঁদের। বিপদে পড়লেও প্রশাসনের তরফে কোনওরকম সাহায্য মেলেনি বলে অভিযোগ।
সোদপুরের এক পর্যটকের কথায়, শঙ্করপুর হয়ে তাজপুর যাওয়ার পথে দেড় কিলোমিটার এগোতেই রাস্তায় ছোটখাটো গর্ত দেখতে পাই। প্রতিটি গর্তই জলে ভরা তাই আন্দাজ করতে পারিনি কতটা গভীর। রাস্তা এতটাই সরু ও জলকাদায় ভরা যে ফিরে আসার পথ ছিল না। হঠাৎ গাড়ির সামনের চাকা একটা গর্তে ঢুকে গিয়ে গাড়ি মুখ থুবড়ে রাস্তায় পড়ে।
নন্দকুমারের বাসিন্দা শঙ্কর মাইতি জানান, এত খারাপ রাস্তা জানলে আসতাম না। মেরিন ড্রাইভে গিয়ে যা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে, তারপর দীঘা না গিয়ে বাড়ি ফিরে এসেছি। একই অভিজ্ঞতা হয়েছে হলদিয়ার পর্যটক দেবদুলাল পট্টনায়েকের। শঙ্করপুর যাওয়ার পথে তাঁদের গাড়ি একটি গর্তে ঢুকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে কোনওমতে গাড়ি উদ্ধার হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাসকের কথায়, রাস্তা বন্ধের জন্য বোর্ড লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কেন লাগানো হয়নি তা জানতে চেয়েছি। কাজ চলাকালীন কিছু পর্যটক ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি গর্তে পড়ে যাওয়ার অভিযোগ আসছিল। তাই নির্মাণকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই অংশের রাস্তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন