বন্ধ নুঙ্গির বাজি বাজার, কালীপূজোর আগে বেকার প্রায় ১৫ হাজার কর্মী

পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির পদ্ধতি পশ্চিমবঙ্গের বাজি শিল্পের সাথে যুক্ত কর্মীরা জানেননা। কেউ কেউ জানলেও তৈরির পরিকাঠামো নেই তাঁদের। ফলে বাধ‍্য হয়ে অন‍্য ব‍্যবসায় নামতে হয়েছে তাঁদের।
বন্ধ নুঙ্গির বাজি বাজার, কালীপূজোর আগে বেকার প্রায় ১৫ হাজার কর্মী
প্রতীকী ছবি
Published on

কালিপূজার আগে বেকার হয়ে গেলেন বাজি শিল্পের সাথে যুক্ত প্রায় ১৫ হাজার কর্মী। মহেশতলার নুঙ্গির বহু বাজি দোকানী তাঁদের দোকান বন্ধ করে বাধ‍্য হয়েছেন। বদলে অনেককেই আজ সবজি নিয়ে বসতে দেখা গেছে। সরকারের বাজি পোড়ানো সংক্রান্ত নির্দেশের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাঁদের বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

বাজি বিক্রেতা এবং বাজি তৈরির কারিগরদের বক্তব্য সরকার কেবল পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির পদ্ধতি পশ্চিমবঙ্গের বাজি শিল্পের সাথে যুক্ত কর্মীরা জানেননা। কেউ কেউ জানলেও তৈরির পরিকাঠামো নেই তাঁদের। তাছাড়া তাঁরা যে বাজি তৈরি করছেন তা পরিবেশবান্ধব কিনা কিংবা কতটা ক্ষতিকর সেই বিষয়ে স্বীকৃতি দেওয়ারও কোনো ব‍্যবস্থা নেই রাজ‍্যে। ফলে বাধ‍্য হয়ে অন‍্য ব‍্যবসায় নামতে হয়েছে তাঁদের।

রাজ‍্যের বাজারে তামিলনাড়ুর শিবাকাসি কোম্পানির বাজি ঢুকছে। বাজি ব‍্যবসায়ীদের কথায়, এর মধ্যে এক বৃহৎ ষড়যন্ত্র আছে। তার জন্যেই পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির পদ্ধতি তাঁদের জানানো হচ্ছে না। সরকার বলেছে এই বাজি তৈরির জন্য নাগপুরের ন‍্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা NEERI থেকে ট্রেনিং নিতে হবে। কিন্তু ট্রেনিং নিতে গেলে ফায়ার লাইসেন্স থাকতে হবে। বাজি কর্মীদের বক্তব্য ফায়ার লাইসেন্স থাকা সত্ত্বেও সেগুলো সরকার থেকে নবীকরণ করা হয়নি। তাই বাজি কর্মীরা পরিবেশবান্ধব বাজির ট্রেনিং নিতেই পরেননি।

এই কারণে নুঙ্গির বাজি বাজারের বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু কিছু দোকানের মালিকেরা বাজি ব্যবসা ছেড়ে সবজির ব্যবসা এবং অন্যান্য ব্যবসায় নিযুক্ত হয়েছেন। যে কয়েকটি বাজি দোকান খোলা আছে সেগুলিতেও পুরনো বাজি বিক্রি হচ্ছে। বাজি ব্যবসায়ীদের বক্তব্য যদি রাজ্য সরকার তাঁদের ওপর দৃষ্টিপাত না করে তাহলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই বাজি শিল্প মুছে যাবে।

বন্ধ নুঙ্গির বাজি বাজার, কালীপূজোর আগে বেকার প্রায় ১৫ হাজার কর্মী
পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির প্রশিক্ষণই নেই, সরকারি নির্দেশে চরম দুর্দশায় রাজ্যের বাজি প্রস্তুতকারকরা

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in