WB Municipal Polls: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে চরমে, মালদায় একই ওয়ার্ডে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন দু'জন

ইংরেজবাজারের তিন নম্বর ওয়ার্ডে জোড়াফুলের হয়ে লড়ছেন দু'জন। একদিকে দেওয়াল লিখন করে প্রচার আরম্ভ করে দিয়েছেন কাকলি চৌধুরী। অন্যদিকে নমিনেশনের জন্য ডিসিআর কাটলেন মণীষা সাহা।
কাকলি চৌধুরী এবং মণীষা সাহা
কাকলি চৌধুরী এবং মণীষা সাহাছবি সৌজন্যে ভিডিওর স্ক্রিনশট
Published on

পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ‍্যে এসেছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে যে সুব্রত বক্সী এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী তালিকার প্রতি পৃষ্ঠায় সই করে তালিকা প্রকাশ করতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও অস্বস্থিকর পরিস্থিতি এড়ানো যাচ্ছে না।

যেমন মালদার ইংরেজবাজার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে জোড়াফুলের হয়ে লড়ছেন দু'জন। একদিকে দেওয়াল লিখন করে প্রচার আরম্ভ করে দিয়েছেন কাকলি চৌধুরী। অন্যদিকে নমিনেশনের জন্য ডিসিআর কাটলেন মণীষা সাহা। দুজনেই নিজেকে তৃণমূলের প্রার্থী বলে দাবি করেছেন।

কাকলি চৌধুরী বলেন, দল আমাকে তিন নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করেছে। জেলা সভাপতি সাংবাদিক সম্মেলন করে আমাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। তাই আমি প্রচার শুরু করে দিয়েছি। দেওয়াল লিখন করছি। মানুষের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। আমি জয়লাভ করবো।

কাকলি চৌধুরীর দেওয়াল লিখন
কাকলি চৌধুরীর দেওয়াল লিখনছবি সৌজন্যে ভিডিওর স্ক্রিনশট

অন্যদিকে মণীষা সাহাও নিজেকে তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাবি করছেন। নমিনেশনের জন্য ডিসিআর কাটার সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, তিনি তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী। প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রথমে বিভ্রান্তি হয়েছিল। দ্রুত সেই ভুল মিটিয়ে নিয়ে তাঁকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, চব্বিশ ঘণ্টা আগে ইংরেজবাজার পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম। সেখানে তিন নম্বর ওয়ার্ড‌ থেকে প্রার্থী হিসেবে কাকলি চৌধুরীর নাম ঘোষণা করা হয়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি তালিকা বের হয়। তাতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মণীষা সাহার নাম রয়েছে।

কাকলি চৌধুরী এবং মণীষা সাহা
TMC: দলের কর্মীদের সঙ্গে কুকুরের মত ব্যবহার করছেন, নাম না করে সৌগতকে নিশানা মদনের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in