অবশেষে পিছিয়ে গেল রাজ্যের চার পুরসভার ভোট। তিন সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট করার কথা ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুরসভা নির্বাচন চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছিয়ে দেবার পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তবে কমিশনকে ‘স্বাধীন সিদ্ধান্ত’ নিতে বলেও স্পষ্ট করে দেয় হাইকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শ্রী প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে এক জনস্বার্থ মামলায় এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নির্বাচন পিছিয়ে দেবার দাবি জানিয়ে আদালতে এই 'জনস্বার্থ মামলা'টি দায়ের করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ সংবিধানের '২৪৩ জেড এ' ধারা তুলে ধরে জানিয়ে দেন রাজ্যের স্থানীয় ভোট পিছোনোর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার অধিকারী একমাত্র নির্বাচন কমিশন।
আজ কমিশনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আদালতের মতামতকে সম্মান জানিয়ে চার পুরসভার ভোট পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত বিধিনিষেধ বজায় থাকলেও ভোট গণনা কবে হবে , সেই নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নবান্নের তরফ থেকে চিঠি দিয়ে কমিশনকে জানানো হয়, ভোট পিছিয়ে দিলে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই। যদিও এর আগে আদালতে একাধিক বার ভোট পিছিয়ে দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল রাজ্য সরকার।
আগামী ২২ জানুয়ারি রাজ্যের চার পুরসভা, শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরে পুর নির্বাচন হবার কথা ছিল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।