
মালদহে আদিবাসী মহিলা নির্যাতন কাণ্ডে মুখ খুললেন নির্যাতিতার মেয়ে। চোর সন্দেহে তাঁর মা ও তাঁর এক কাকিমাকে মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। একই দাবি করেছে পুলিশও।
এক নির্যাতিতার মেয়ে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, "গত ১৮ জুলাই আমার মা ও আমার কাকী বাজারে লেবু কিনতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক মিষ্টির দোকানের মালিক তাদের বিরুদ্ধে লেবু চুরির অভিযোগ আনেন। এরপর সবাই আমার মা ও কাকীকে ধরে মারধর শুরু করে। তাঁদের পোশাক খুলে ফেলা হয়েছে। এটা অন্যায়।"
এই মুহূর্তে দুই নির্যাতিতা জেলে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন মেয়ে। তিনি জানান, “এই মুহূর্তে আমার মা এবং কাকী মালদায় একটি জেলে রয়েছেন। আমরা একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে এই তথ্য পেয়েছি। আমি ও আমার বাড়ির লোকজন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল যে সোমবার তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।“
মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো এবং গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে যখন দেশ উত্তাল তখন মালদহের বামনগোলা থানা এলাকার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। তিনি অভিযোগ করেন, মালদহে দুই আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করা হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজন মহিলা দু’জন মহিলাকে মারধর করতে করতে তাঁদের পোশাক খুলে দিচ্ছেন। তবে এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে এখনও অফিসিয়ালি কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইতিমধ্যেই একটি প্রেস কনফারেন্স করেছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন তিনি।