

উত্তরবঙ্গে সময়ের আগেই প্রবেশ করেছিল বর্ষা। অবশেষে বর্ষা প্রবেশ করল দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা রাজ্যেই প্রবেশ করেছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। বুধবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাত থেকেই কলকাতা সহ একাধিক জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যার জেরে মঙ্গলবার ভোরে পশ্চিমবঙ্গ এবং দক্ষিণ বাংলাদেশে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। যা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর জেরে মঙ্গলবারের মতো বুধবারেও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। এছাড়া গোটা সপ্তাহজুড়ে সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সাধারণত দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সময় জুন মাসের ১০ থেকে ১৫ তারিখ। তবে আবহাওয়ার কারণে যা এগোতে বা পিছোতে পারে। তবে এবার নির্ধারিত সময়েই বর্ষা প্রবেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে।
অন্যদিকে, নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগণা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া এবং পূর্ব বর্ধমানেও। সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলিতে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে।
পাশাপাশি, আগামী দু'দিন উপকূলে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। উত্তাল থাকবে সমুদ্র। ফলে মঙ্গল ও বুধবার মৎস্যজীবীদের বাংলা ও ওড়িশা উপকূলের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।
দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই চলতি সপ্তাহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। মঙ্গল এবং বুধবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে।
Keywords: Weather Update, monsoon, West Bengal, heavy rain
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন